খামারীকে অসহযোগিতার অভিযোগ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে ৩৮টি স্টল, অনুপস্থিত ছিল দু’য়ের অধিক খাতা-কলমে ৪০ ধরে পুরস্কার বিতরণ, সনদ ও সম্মানির চেক বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে ২৮নং স্টলের বরাদ্দকৃত নামীয় ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে ওই স্টলে রাখা ১৩ছাগল পালনকারী বিধবা সালেহাকে কোনো ক্রমেই সহযোগিতা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছে।
গত শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের ন্যায় তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এই সেবা সপ্তাহ কার্যক্রম চলবে।
সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৩ এর অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীতে ৩৮টি স্টল রয়েছে এরমধ্যে দু’য়ের অধিক স্টলে বরাদ্দকৃত ব্যক্তির নির্ধারিত প্রাণিসহ অনুপস্থিত ছিলেন। তবে খাতা-কলমে ৪০টি স্টলের হিসাব টানা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৮নং স্টলের ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকায় ওই স্টলে উপজেলা সদর ইউনিয়নের টেলিপাড়া(পুরাতন বাজার) এলাকার মৃত লতিফ আর্মির স্ত্রী সালেহা ১৩টি ছাগল নিয়ে প্রদর্শনীতে এলে তাকে কোনো ভাবেই সহযোগিতা করা হয়নি।
বিধবা সালেহা দুঃখ করে বলেন, ‘আমার স্বামী নাই, আমি আর মা মিলে সারাদিন বনজঙ্গলে থাকি। হামিদুল বলল, ছাগল নিয়ে অনুষ্ঠানে গেলে দুধ দিবে টাকা দিবে খাবার দিবে আমরা গরিব মানুষ সেই আশায় ছাগল নিয়ে আইচ্ছি। স্যার কহিল মোর নাম নাই, মোক চলে যাবা কহিল। মুই টাকাও পামনি মোক খাবারও দিবেনি।’
জানা যায়, ‘এবার উপজেলা পর্যায় পঞ্চগড়ের ৫টি উপজেলাতে প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ ১৮ হাজার টাকা, অনুষ্ঠান/উৎসবাদি বাবদ ১লাখ ১হাজার ৫শ’ টাকা এবং জেলা পর্যায় প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ ১৫ হাজার ৬শ’ টাকা, অনুষ্ঠান/উৎসবাদি বাবদ ৮৬হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ইউনুস আলী বলেন, ‘আমরা মাইকিং করেছি, আমাদের নিজস্ব ফেসবুকে দিয়েছি। ২৫ তারিখের আগেই প্রদর্শনী নামের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। এখন সালেহা নামে ওই নারী এলে তাকে তো নামের তালিকায় দেয়া সম্ভব হবে না। আপনারা গণমাধ্যকর্মীদের যে কাগজ দিয়েছেন তাতে ৪০টি স্টল লেখা রয়েছে কিন্তু বাস্তবে ৩৮টি স্টল দেখা এমন জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, তালিকাভুক্ত সকলকে বলা হয়েছে হইতো আসেননি। আপনারা কত টাকা মূল্যের চেক বিতরণ করবেন জিজ্ঞাসায় কিছুই জানা যায়নি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই, আপনি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললেই ভালো হবে।’
প্রচার ও বিজ্ঞাপন বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডাঃ আব্দুর রহিম এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা লিফলেট, ফেসটুন, ব্যানার ও আলোকসজ্জা করেছি। এতিমখানা ও স্কুলে শিক্ষার্থীদের ডিম ও দুগ্ধপান করানো হচ্ছে। আপনি ইউসুফ সাহেবের সঙ্গে দেখা করেন।’ তবে সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৩ এ বরাদ্দ নিয়ে প্রাণিসম্পদ থেকে কোন তথ্য দেয়া হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন