পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ৩৭.৯ ডিগ্রি, দাবদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন


বাংলা ষড় ঋতুর গণনায় এখন বর্ষাকাল হলেও চারদিকে যেন গ্রীষ্মের খরতাপ। প্রচণ্ড রোদ আর খরায় পুড়ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। দুই সপ্তাহের টানা খরতাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দুর্ভোগে পড়েছেন রিকশা-ভ্যানচালক আর খেটে খাওয়া মানুষ।
দাবদাহ থেকে বাঁচতে রিকশা-ভ্যানের যাত্রীসহ পথচারীদের ছাতা নিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র গরমে মানুষজন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। দিনের অধিকাংশ সময় শহর ফাঁকা দেখা গেছে। প্রয়োজনের তাগিদে বের হওয়া লোকজন রাস্তার পাশে গাছের ছায়া দেখলেই দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় জেলায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৯ এবং সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গরমের কারণে শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষের জীবন প্রায় অষ্ঠাগত।
আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য মতে, কয়েক দিন ধরে জেলায় সর্বোচ্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে তাপমাত্রা অবস্থান করছে। দাবদাহে দিনে শহরের রাস্তাঘাট ও হাট বাজারে মানুষজনের চলাচল কমে গেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।
শহরের মসজিদ পাড়া মহল্লার রিকশাচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, এমন তীব্র গরম এর আগে দেখিনি। গরমের কারণে কোথাও শান্তি নেই। রাস্তা ঘাট এমনিতেই ফাঁকা। যাত্রী নেই, দুই-একজন যাত্রী পেলেও ঠিকমত রিকশা চালাতে পারছি না। কি যে হবে আল্লাহই জানে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জাকির হোসেন বলেন, শুক্রবার বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন