পঞ্চগড়ে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, এসআইর বিরুদ্ধে মামলা, আদালত নির্দেশে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

পঞ্চগড়ে এক বিধবা নারীকে (৩৫) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে ভূয়া কাবিননামা ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল (৪৫) এর বিরুদ্ধে।
বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এসআইর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেছে আদালত।
রবিবার দুপুওে পঞ্চগড় বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এসআই আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযুক্ত এসআই গাইবান্ধা জেলার উত্তর ফুলিয়া সদর এলাকার আব্দুল শুকুর আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযোগ এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিধবা ওই নারীর মৃত স্বামীর ভাইয়ের সাথে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ থাকলে গত ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি। কর্মরত অবস্থায় এসআই আব্দুল জলিল সাধারণ ডায়েরী অভিযোগে তদন্ত শুরু করেন এবং এই সূত্র ধরে ওই বিধবা নারীর সাথে তার পরিচয়। এভাবে এসআই বিভিন্ন ভাবে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখানো শুরু করে। ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার পূর্ব জালাশী এলাকার বিধবা নারীর মৃত স্বামীর বাড়িতে প্রবেশ করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে জলিল।
এ সময় বাড়িতে মৃত স্বামীর সন্তানরা শব্দ পেয়ে আপত্তিকর অবস্থায় দেখলে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এসে তাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে। পরবর্তিত্বে তাদের দুইজনকে কাজী ও মুন্সী দিয়ে তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। এর পর থেকেই পঞ্চগড়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় এসআই আব্দুল জলিল ওই বিধবা নারীকে স্ত্রীর মর্যদা না দিয়ে শুরু শারীরিক সম্র্পক বজায় রাখেন। বিষয়টি জানতে পারলে ওই নারী এসআইর কাছে বিবাহের কাবিন নামা দেখতে চাইলে সে কালক্ষেপণ করা শুরু করেন। এর মধ্যে জলিল উপর মহলে যোগাযোগ করে পঞ্চগড় থেকে কুড়িগ্রাম থানায় বদলি নেন। গত ৭ অক্টোবর পঞ্চগড় জর্জ কোর্টে স্বাক্ষী দিতে আসলে ওই নারীর সাথে দেখা হলে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন। বিধবা নারী তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে এসআই বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন। এদিকে কোন উপায় না পেয়ে গত ২০২১ সালের ২৫ মার্চ এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে দাবী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ভূক্তভোগী বিধবা ওই নারী বলেন, আমার জীবনের সাথে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করেছে সে। আমি এ ঘটনায় মামলা দায়ের করলে সে আমাকে বহু ভাবে হুমকি প্রদান শুরু করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই এবং কোন মা-মেয়ে পুলিশের এমন নির্যাতনের শিকার না হয়।
এব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবি মেহেদী হাসান মিলন বলেন, বাদীর সাথে শুকৌশলে শারীরিক সম্পর্ক করে সে অন্য জেলায় বদলি নিয়ে চলে যান এবং তার সাথে কোন সম্পর্ক রাখছেন না তাই বাদী ওই নারী আইনের আশ্রয় নিলে এসআই আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনালে দাবী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন এদিকে তদন্ত ও মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন