পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গ্রামপুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম,তিন দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তরুণীকে শারিরিক লাঞ্চিত’র প্রতিবাদ করায় এক গ্রাম পুলিশ সদস্য সহ দুই জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে বখাটেরা। মাদ্রাসা শিক্ষিকা মালা বেগমকে শারিরিক লাঞ্চনা থেকে রক্ষা করতে গিয়েই হামলার শিকার স্বপন শেখ ও গ্রাম পুলিশ সদস্য খলিল হাওলাদার। এর মধ্যে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত নিয়ে হাসপাতালের শয্যায় কাতরাচ্ছেন স্বপন।

তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষত হওয়া স্থানে একাধিক সেলাই লেগেছে। আর খলিল হাওলাদারের হাতেও রয়েছে কোপের আঘাতের চিহ্ন। তবে এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। উপজেলার টিয়াখালী ইউপির কেরাতুল কোরান মাদরাসার শিক্ষিকা মোসা. মালা বেগম। তার অভিযোগ,বৃহষ্পতিবার বিকেলে পাঠদান শেষে বোন জামাতাকে বিদেশ যাত্রায় বিদায় জানাতে বাবার বাড়ি যাচ্ছিলেন তিনি। পথি মধ্যে পূর্ব বাদুরতলী বাঁধঘাট এলাকায় পেঁৗছালে এই তরুণী শিক্ষিকাকে অশ্লিল কটুক্তি করেন রেজাউল নামের এক তরুণ।

পরে তিনি এর প্রতিবাদ করলে তাকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন নাঈম, রেজাউল, তানভীর, রাব্বী সাঈদুল সহ বেশ কয়েক তরুন যুবক। এসময় তিনি ডাক চিৎকার দিলে তার খালু স্বপন সেখানে গিয়ে যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বখাটেরা এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করে। ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মালার অভিযোগ, এর কিছু সময় পর তার বাবা খলিল ঘটনাস্থলে আসলে তার উপরও হামলা চালায় যুবকরা। হামলায় তার বাবা গ্রাম পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত জখম হন।

তার সামনেই চোখে আঘাত করা সহ হাতে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় অস্ত্রধারীরা। কান্না জড়িত কন্ঠে মালা জানান, দীর্ঘদিন জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে তাদের পারিবারিক ঝামেলা চলছে। কিন্তু রাস্তায় তাকে একা পেলেই এমন ঘটনা ঘটায় বখাটেরা। মালার ভাষ্যমতে, জমির বিষয় নিয়ে আমি তো কখনো তাদের কিছু বলিনি। তার পরেও সব সময় একটা ভয় নিয়ে পথ চলতে হয়। এ দিকে শয্যাসায়ী স্বপনের অভিযোগ, এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন জানিনা। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, কে কতটা আহত হয়েছে তা আমার কাছে আছে। এদের দুই গ্রুপে জমি সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।