পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে হাসপাতালে ঢুকে অসুস্থ রোগী পেটালেন যুবক

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চিকিৎসাধীন রোগীকে পিটিয়েছে এক যুবক। এসময় হাসপাতাল শয্যায় থাকা রোগীরা ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে দিক বেদিক ছুটতে থাকেন।

রোববার (২ জুলাই) রাত সাড়ে সাতটার দিকে কলাপাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ নিলে ওই যুবককে জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। হামলাকারী ওই যুবকের নাম মিশুক। তিনি নীলগঞ্জ ইউপির ঘুটাবাছা গ্রামের মাসুদ হাওলাদারের ছেলে।

আহতদের স্বজনরা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ডালবুগঞ্জ ইউপির রসুলপুর গ্রামে রাজহাঁসে ঘাস খাওয়ার অপরাধে মা খাদিজা বেগম ও তার মাধ্যমিক পড়ুয়া ছেলে শাহজালালকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে প্রতিবেশী ইলিয়াস। এতে শিক্ষার্থী শাহজালালের ডান হাতের দুই স্থানে ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা মা ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এ ঘটনা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে দ্বিতীয় দফায় হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে চিকিৎসাধীন শাহজালালের ওপর হামলা চালায় প্রতিবেশি ইলিয়াসের নিকটাত্মীয় মিশুক। এসময় শিক্ষার্থী শাহজালালের মাকেও দ্বিতীয় দফায় মারধর করে বহিরাগত ওই যুবক। এসময় তিনি চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরে কর্মরত সাংবাদিক পরিচয় দেন।

হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৪নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রোগী জসীম উদ্দিন জানায়, সন্ধ্যায় এক যুবক বেডে ঢুকে হাত ভাঙ্গা অসুস্থ ছেলেটাকে হেলমেট দিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। এমনকি হাতের বেন্ডেজযুক্ত স্থানে একাধিক বার আঘাত করেছে। এই দৃশ্য ছিল অমানবিক।

একই ওয়ার্ডে ৯ নং বেডে চিকিৎসাধীন গোপাল চন্দ্র জানান, হঠাৎ এসে পেটাতে শুরু করলে রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে যায়। চিকিৎসার সময়ে কেউ এভাবে মারধর করে এমনটা আগে দেখিনি।

কলাপাড়া থানার ওসি মো.জসিম জানান, ঘটনা শোনা মাত্র পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে হামলাকারী যুবককে জনতা আটক করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে। এ ঘটনার মূল সুত্রপাত মহিপুর থানার আওতায়। ওখানকার ওসি সাহেবের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

এবিষয়ে মহিপুর থানার ওসি ফেরদাউস আলম খান জানান, এখনো পর্যন্ত আমরা অভিযোগ পাইনি। তবে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।