পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রী স্বীকৃতি দাবীতে প্রেমীকের বাড়িতে কলেজ পড়ুয়া তরুণী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রেমীকের বাড়িতে অনেশন করছেন কলেজ পড়ুয়া এক তরুণী। মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলার লালুয়া ইউপির মহল্লাপাড়া আবাসনে প্রেমীক রাব্বির ভাড়াটিয়া বাসায় অবস্থান নেন এই কলেজ শিক্ষার্থী। তবে তরুণীর অভিযোগ, সকালে স্বামী রাব্বির খোঁজে ওই বাড়িতে গেলে তাকে মারধর করেন তার শাশুড়ি।
ওই তরুণী পটুয়াখালী সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী এবং নীলগঞ্জ ইউপির বাসীন্দা বলে দাবী করেন তিনি। ভুক্তভোগী মোনালিসা (ছদ্দনাম) জানান, প্রায় তিন বছর আগে কলাপাড়া পৌর শহরের ফলপট্রি এলাকায় রাব্বির সঙ্গে পরিচয় ঘটে তার। পরে মোবাইল ফোনে প্রেম বিনিময় ঘটে। একপর্যায়ে জানতে পারেন রাব্বিও পটুয়াখালীতে থেকে লেখাপড়া করছেন এবং তিনি অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
মোনালিসার ভাষ্যমতে প্রেম গভীর হলে তারা দুজনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং গোপনে বিয়ে করে একসাথে বসবাস করতে থাকেন। এমনকি পটুয়াখালী শান্তিবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একসাথে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন একসাথে থাকার পর বাব্বির হিংস্ররুপ দেখতে পান। তিনি বলেন, ভালোবেসে বিয়ে করলেও পরিবার থেকে রাব্বিকে আর্থিক যোগান দিচ্ছেনা বলে তাকে অন্য পুরুষের শয্যায় যেতে বাধ্য করতো তার স্বামী।
আর সেই উপার্জন দিয়েই চলতো দুজনার লেখা পড়ার খরচ। এই তরুনীর অভিযোগ, স্বামীকে বিশ্বাস করে ভালোবেসে তার কথায় সব করেছি। কিন্তু রাব্বী আমাকে বাড়িতে নিয়ে যায়নি। তবে গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটার একটি হোটেলে কাজী ডেকে নিয়ে সেখানে কাবিন করে আমার স্বামী। আর সেদিন রাতে বাড়িতে না নিয়ে কলাপাড়ার কালভার্ট এলাকায় নাহিদ নামে এক ছেলের বাসায় আমাকে নিয়ে রাত্রি যাপন করে।
কিন্তু এর পর থেকে আর কোন যোগাযোগ করছে না রাব্বি। শেষে কোন উপায় না পেয়ে স্বামীর বাড়িতে বিষের বোতল হাতে অনেশন করছেন তিনি। তবে মোনালিসা বাড়িতে আসার খবরে লাপাত্তা হয়েছেন রাব্বি। এদিকে এবিষয়ে রাব্বির বাবা শাহিন মিয়া জানান, আমার ছেলেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ধরে নিয়ে কুয়াকাটায় বিয়ে করেছে ওই খারাপ মেয়েটা। আমরা মামলা করেছি।
এছাড়া ওই মেয়ের বেশকিছু আপত্তিকর ভিডিও রয়েছে বলেও জানান রাব্বির বাবা। এছাড়া মোনালিসাকে মারধরের কথা অস্বীকার করেন তিনি। এবিষয়ে কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি,তবে খোঁজ নিয়ে দ্যাখা হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন