পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদরাসা সুপারকে টাকা না দিলে মিলছে না উপবৃত্তি
বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংঙ্গচুর কান্ডের পর বেশ সমালোচিত হওয়ায় ডেগার মাওলানা হিবেসে পরিচিতি লাভ করেন তিনি। তবে এবার নিয়োগ বানিজ্যের রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর তৃতীয় বারের মত উপবৃত্তির নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ এই মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে। আর সরেজমিনে গিয়েও মিলেছে সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অর্থ আদায়ের সত্যতা। ফলে শিক্ষক মহলে নতুন করে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ আক্কেরপুর নুরিয়া দাখিল মাদরাসার জেষ্ঠ্য শিক্ষক(সুপার) মাওলানা আবদুল মান্নান। দীর্ঘদিন যাবৎ নানান বিতর্কিত কর্মকান্ডে স্থানীয়ভাবে বেশ সমালোচিত ব্যক্তি তিনি। তবে এবার তার নিজ প্রতষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার নামে অর্থ আদায় করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন।
৬শ টাকা দিলেই মিলবে প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া উপবৃত্তি। শিক্ষার্থীদের এমন প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
আর সরেজমিনে গিয়েও মিলেছে এসব অর্থ গ্রহনের সত্যতা। শিক্ষার্থীরা জানান, ৬’শ টাকা দিলে সবাইকে উপবৃত্তি পাইয়ে দেবেন বলে অর্থ আদায় করেছেন এই শিক্ষক। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত দিনে ঘুষ নিলেও তাদের তালিকায় নাম আসেনি। এমনকি পরবর্তীতে সেই টাকাও ফেরৎ দেননি এমন অভিযোগ একাধিক মাদরাসা পড়–য়া শিক্ষার্থীদের।
ষষ্ঠ শ্রেণি শিক্ষার্থী মোসাম্মৎ নুসরাত, মো: সোলায়মান, গোলাম রাব্বি, মো. জুবায়ের সহ প্রায় ২৮ শিক্ষার্থীর অভিযোগ, জেষ্ঠ্য সুপারের কাছে ৬শ টাকা দিয়েছে তারা উপবৃত্তির পাবার জন্য।
আর অষ্টম শ্রেণী শিক্ষার্থীর বনি আমিনের অভিযোগ, উপবৃত্তির তালিকায় নাম দেয়ার জন্য তার বাবা মাদ্রাসায় এসে ছয়শ টাকা দিয়ে গেছে।
দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী মোসা.নাদিয়া বলেন, উপবৃত্তির জন্য অনেক আগে ৬’শ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এবছরও টাকা ফেরৎ দেয়নি। এমন অভিযোগ একাধিক শিক্ষার্থীর।
ওই প্রতিষ্ঠানের সহকারি মৌলভী, আব্দুল মজিদ জানান, শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অফিস খরচের জন্য ৬শ টাকা করে নিয়েছে বলে জানি। কিন্তু কত টাকা নিয়েছে তা বলতে পারবো না।
সহকারী সুপারিনটেন্ডেট আবুল কালাম অর্থ গ্রহনের সত্যতা স্বীকার বলেন, উপবৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার জন্য অফিস খরচ বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। কত কি টাকা উত্তোলন করছেন তা আমার জানা নেই। কারন আমরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ব্যস্ত থাকি।
এবিষয়ে আক্কেলপুর নুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নানকে না পেয়ে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সেখানে অর্থ গ্রহনের সুযোগ নেই। শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন