পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পরিবারের দেওয়া বিয়ে মানতে না পেরে কলেজ ছাত্রীর আত্যহত্যা
পটুয়াখালীর কলাপাড়া শামিমা আক্তার নামে কলেজ পড়ুয়া এক গৃহবধূও ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শনিবার (৮ জুন) রাত তিনটার দিকে মরদেহ উদ্ধার কওে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মৃত শামিমা আক্তার ওই ইউপির জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী ও ধানখালী ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানান, শামীমার বাবা রুহুল আমিন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে তিন মাস পূর্বে জাহিদুল ইসলামের সাথে বিয়ে দেয় পরিবার। তবে এটা স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে নি এই শিক্ষার্থী। ফলে এ কারনে সে মানসিক সমস্যায় প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়তেন।
শুক্রবার রাতে শামীমাকে ঘরে রেখে তার মা হাসিনা বেগম বাড়ির পাশেই স্বামীর দোকানে যান। কিন্তু কিছু সময় পরে প্রতিবেশিদের ডাক চিৎকার শুনে ঘরে গিয়ে মেয়েকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ জানান, মেয়েটি ওড়না দিয়ে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস নিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন