পটুয়াখালীতে আনসার সদস্যদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ১৪
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মসজিদ নির্মানকে কেন্দ্র করে আনসার ব্যাটালিয়ান ক্যাম্পের সদস্যদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নারীসহ অন্তত: ১৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডে নাচনাপাড়া ব্যাটালিয়ান ক্যাম্পের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের প্রায় আধা ঘন্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রনে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকাবাসীর উদ্যোগে মসজিদ নির্মানে বাঁধা প্রদানের জেরে শুক্রবার জুম্মাবাদ ও জুম্মা নামাজের পূর্বে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের উপর ব্যাটালিয়ান জওয়ানদের লাঠি পেটা ও ইট পাটকেল নিক্ষেপে নাচনাপাড়া এলাকা রনক্ষেত্রে পরিনত হয়। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। ঘটনার পর কলাপাড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী আহমেদ, ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, কলাপাড়া ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ও জেলা আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার মো: কামরুজ্জামান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আনসার ব্যাটালিয়ান ক্যাম্প মসজিদে বাউন্ডারি ওয়াল ও গেট নির্মানের ফলে স্থানীয় মুসুল্লীরা নামাজ আদায়ে বাঁধা পেয়ে নিজেদের উদ্যোগে নাচনাপাড়া এলাকায় মসজিদ নির্মান কাজ করছিল। এতে ব্যাটালিয়ান ক্যাম্পের কয়েক জওয়ান এসে মসজিদ নির্মান স্থানটি তাদের দাবী করে কাজে বাঁধা প্রদান করে। এরপর মসজিদ নির্মানের উদ্দোক্তা কালাম মুসুল্লী (৪৫) কে শুক্রবার জুম্মা নামাজের পূর্বে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে লাঠি দিয়ে নির্যাতন করে। এখবর স্থানীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ক্যাম্পের সামনে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিচার দাবী করে। এসময় ব্যটালিয়ান ক্যাম্পের জওয়ানরা জড়ো হয়ে স্থানীয়দের উপর লাঠি চার্জ সহ ইট পাটকেল নিক্ষেপ করায় ৩ নারী সহ অন্তত: ১৪ জন আহত হয়। স্থানীয়রা আহত নুর আলম (৪০), তানিয়া (২৫), শাহিন (২৬), রোজিনা (২৫), আবুল কালাম (৫০), শামিম (১৫), জেসমিন (৩২), ফোরকান (৪৫) ও রাশিদা (৫০) জন্য উপজেলা জাকির হাওলাদার(৩২), আলাউদ্দিন (৪০), এদের উদ্ধার করে চিকিৎসার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করে। বাকি তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া স্থানীয়দের হামলায় ৪ ব্যাটালিয়ান জওয়ান আহত হয়েছে বলে জানান আনসার সদস্যরা। তবে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এঘটনায় জেলা আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার কামরুজ্জামান দু:খ প্রকাশ করে বলেন, অনাকাংখিত এ বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলাপাড়া থানার ওসি খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আনসার ব্যাটালিয়ান কমান্ডিং অফিসার স্থানীয়দের নিয়ে সমঝোতার চেষ্টায় বৈঠক করেছেন। বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থেকে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন