পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক ব্যক্তির হাত-পা গুড়িয়ে দিলো মুখোশধারীরা!
পটুয়াখালীর মহিপুরে লোহার রড ও কাঠের গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খলিল হাওলাদার (৪৮) নামের এক দিনমজুরের ৪ হাত পা গুড়িয়ে দিয়েছে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আলাউদ্দিন মোল্লা (৭০) নামে এক বৃদ্ধকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মহিপুর সদর ইউপির ওয়াপদা কলোনি এলাকায় নৃশংস এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের রক্তাক্তাবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুয়াকাটা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দ্রুত বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেণ।
এদের মধ্যে খলিল হাওলাদার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করতে পেরেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
আহত খলিল হাওলাদারে বোন রাহিমা বেগম জানান, ঘটনার রাতে কলোনির জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করে একটি গাছের নিচে বসে ছিলেন খলিল ও আলাউদ্দিন মোল্লা। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারের নেতৃত্বে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই খলিলের উপর হামলা চালায় মুখোশ পরিহিত ৭/৮ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। হামলার সময় মুখোশধারীরা খলিলের হাত এবং পা গাছে শিকরের উপর রেখে লোহার রড ও গাছের মোটা গুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুড়িয়ে দেয়। তবে হামলার সময় মুখোশ খুলে গেলে শাজাহান, জাহিদুল ও মাসুমকে খলিল চিনতে পেরেছেন বলে জানান রাহিমা।
তিনি আরো জানান, কলোনির একটি খাস পুকুর দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ মামুন মেম্বারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল খলিলের মূলত খলিলের বাঁধার কারণে ওই পুকুর দখলে নিতে না পাড়ায় তাকে প্রাণে শেষ করে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
তবে মামুনের স্ত্রী শিল্পী জানান, ঘটনার সময় আমার স্বামী গ্রামের বাড়ি সেরাজপুরে মিস্ত্রীদের নিয়ে কাজ করছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। খলিলের সাথে আমার স্বামীর মৌখিক ভাবে ঝগড়া বিবাদ হতো, তাই বলে তার উপর হামলা করার প্রশ্নই ওঠে না।
তিনি আরো জানান, খলিলের স্বজনদের সাথে খাস পুকুর নিয়ে তার বিরোধ চলমান রয়েছে। তবে যেই হোক নিরাপরাধ মানুষ বাদে প্রকৃত অপরাধীর শাস্তির দাবী জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনায় মহিপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল মালেক আকন্দ জানান, এ ঘটনায় আওয়ামী দলীয় নির্দোষ ব্যক্তিদের জড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিএনপির একটি রাজনৈতিক গ্রুপ। আমরা প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির দাবী করছি।
মহিপুর থানার ওসি খন্দকার আবুল খায়ের জানান, এঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বাকি অপরাধীদের আটকে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যেই তাদের আটক করতে পারবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন