পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারী জমির মাটি কাটা নিয়ে হামলা, নারীসহ আহত ৮
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারী জমিতে মাছ চাষের ঘের তৈরিতে বাধা দেয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলার চম্পাপুর ইউপির মধ্য চম্পাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত জুয়েল গাজী কে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আহতদের অভিযোগ, সকালে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যস জলিল ফকির ও চৌকিদার পারভেজ’র নেতৃত্বে মাছের ঘের করার জন্য জুয়েল গাজীর বাড়ির পাশে সরকারী জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি খনন কাজ শুরু করে একদল লাঠিয়াল বাহিনি। এসময় জুয়েল গাজী তাদের বাঁধা প্রদান করেন। পরে ওই ইউপি সদস্য ও চৌকিদারের নেতৃত্বে প্রায় ৫০/৬০ জনের এক লাঠিয়াল বাহিনী জুয়েল গাজীর বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথম দফায় হামলা চালায়।
পরবর্তীতে জুয়েল গাজীর ভাগনে সিফাত তার মোবাইলে হামলার ভিডিও ধারন করতে গেলে দ্বিতীয় দফায় ফের হামলা চালায় এবং তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এতে জুয়েল গাজী (৪২), তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩২), ভাই সোহেল গাজী (৩৭), তার স্ত্রী টুলু বেগম (৩০), বোন ফাতেমা (৩৫), ছেলে জিসান (২০), ভাগনে সিফাত (২১) ও তার স্ত্রীর বড় ভাই রেজাউল খান (৪০) গুরুতর আহত হন। এসময় রেজাউল খানের সাথে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে বলেও আহতরা অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জলিল ফকির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মারামারির সময় আমি ঘটনা স্থলে ছিলাম না, এছাড়া আমি নেতৃত্ব দেইনি।
চম্মাপুর ইউপি চেয়ারম্যান রিন্টু তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় বেশকিছু লোক আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সরকারী জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কলাপাড়া থানার ওসি তদন্ত আসাদুর রহমান জানান, খবর শুনে ওই এলাকায় চৌকিদারকে পাঠানো হয়েঠে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন