পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জেলেবধুকে মুগুর দিয়ে পেটালেন যুবলীগ নেতা!

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আসমা বেগম (২৫) নামের এক জেলে বধুকে মুগুর দিয়ে বেধরক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বর্তমানে ওই গৃহবধু কলাপাড়া হাসপাতালের শয্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যন্ত্রনাসিক্ত হয়ে কাতরাচ্ছেন।

বৃহষ্পতিবার সকালে ওই নারীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় পেটানোর পর প্রাথিকভাবে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে ওই নেতার পক্ষ থেকে সেখানেও বাধা প্রদান করা হয় বলে অভিযোগ নির্যাতীতা দুই সন্তানের জননী আসমা বেগমের।

কান্না জড়িত কণ্ঠে জেলেবধু জানান, ঘটনার দিন সকালে ধুলাসার ইউপির চরধুলাসার গ্রামে তার নিজ বাড়িতে মহিষের পাল ঢুকে বেশ কিছু কলাগাছ খেয়ে ফেলে। এসময় মহিষের মালিক ধুলাসার ১নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মাঈনুদ্দিন দালালের কাছে অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এসময় তার স্বামী তরিকুল ইসলাম নদীতে মাছ শিকারে গেলে তাকে বাড়িতে একা পেয়ে বিশ্রিভাষায় গাল মন্দ করেন। এক পর্যায় প্রতিবাদ করলে মহিষের খুটা বসানো মুগুর দিয়ে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যান।

তিনি আরো জানান, তার স্বামী মৎস্য শিকারে গেলে প্রায় সময় একা বাড়িতে থাকাবস্থায় তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন মাঈনুদ্দিন।

আসমার স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দাদন দালারের পুত্র মাঈনুদ্দিন’র ভয়ে এখনও তারা থানায় যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তাদের শালিশের মাধ্যমে ফায়সালা করতে হুমকি দিচ্ছে এই প্রভাবশালীরা।

এব্যাপারে মাঈনুদ্দিন দালালে’র মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে মাঈনুদ্দিন’র পিতা দাদন দালাল জানান, এ বিষয়টি লোক মুখে শুনেছেন, কাছ থেকে দেখেননি তিনি।

মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এবিষয়ে আমাদের কেউ জানায় নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।