ইউএনভি সদস্য রুবাইত হাসান
পত্নীতলা থানার ওসি ও সংশ্লিষ্ট ২ পুলিশ সদস্যের বিভাগীয় ব্যবস্থা চান
পত্নীতলায় সীমান্তবর্তী শিহাড়া ইউনিয়নে মেলার নামে মেয়ে ভাড়া করে এনে অশ্লিল নৃত্য,মাদক ও জুয়ার দুইটি আসর বসানো হয়েছিলো। অফিসিয়াল কাজে ব্যস্ত থাকায় ঈদুল ফিতর (২২ এপ্রিল ২০২৩ইং) ঈদ পরবর্তী (২৪ এপ্রিল) গ্রামের বাড়িতে আসেন জাতিসংঘ অধিভুক্ত ইউএনভি ডিপার্টমেন্ট ব্যাজ প্রাপ্ত অন্যতম আন্তর্জাতিক কর্মী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘আইন সহায়তা কেন্দ্র ‘(আসক) এর রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ও জাতিসংঘের অধিভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের বাংলাদেশের শাখার স্পেশাল কো-অর্ডিনেটর রুবাইত হাসান।
এলাকায় এসে এ সকল ক্রাইম বন্ধে অভিযানের জন্য নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার রাশিদুল হক এর সাথে কথা বলেন তিনি। তথ্য প্রদানের পর বিলম্ব না করে পুলিশ সুপার পত্নীতলা থানা অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেবকে ব্যবস্থা গ্রহন করতে বলেন। অফিসার ইনচার্জ পত্নীতলা দুইটি চৌকশ অপারেশনাল দল ও রুবাইত হাসান এর সাথে কো-অপারেশন করে মেলায় গিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধসহ ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এসময় প্রায় ২০০ মোটর সাইকেল, বেশ কয়েকটি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস এবং অন্তত ৫০ টি ইজিবাইক/অটো/ব্যাটারি চালিত ভ্যান লক্ষ্য করা যায়। অভিযানের সময় ওসি পত্নীতলা পলাশ চন্দ্র দেব নিজে উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদকসহ জড়িতদের সতর্ক ও হুঁশিয়ারি দেন, বিবেকহীন এমন নোংরা কর্মকান্ড যা কী না সরাসরি আইন বিরোধী।
তিনি আরো বলেন, যেই হউক মাদক জুয়াই লিপ্ত থাকলে ছাড় নয়। তার এ্যাকশন সাথে সাথেই ব্যবস্থা গ্রহনে এলাকার সুশীল সমাজ মুগ্ধ হয়। এমনকি আমি পুলিশ সুপারকে ফোন করে ধন্যবাদসহ ওসির প্রশাংসা করি।
কিন্তু এটি ছিলো তার (ওসি’র) হয়তো কোন কৌশল,বা রাজনৈতিক নেতার চাপ/ঘুষ নেওয়া যে কোন একটি এঙ্গেল হতে পারে। তার (ওসি পত্নীতলা) মুখোশ উন্মোচন হয় ধীরে ধীরে। যা এই প্রতিবেদনেই নিন্মে উল্লেখ্য করা হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে পুুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনা থাকায় তিনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য ছিলেন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল ২০২৩ ইং) রাতে অভিযান পরিচালিত হয়।ওই সময় একজন টেলিভিশন ও একজন প্রিন্ট পত্রিকার সাংবাদিককে জরুরী ভিত্তিতে ক্রাইম স্পটে আসার নির্দেশ দেন রুবাইত তারাও সেখানে আসেন।
অবৈধ কর্মকান্ড, অবৈধ ইনকাম বন্ধ করে দেওয়ায় পরিকল্পিত হামলার ছক করা হচ্ছে বিশ্বস্ত গোপন সূত্রে জানার পর, ২৭ এপ্রিল রুবাইত হাসান নিরাপত্তাজনিত কারনে একটি সাধারন ডায়েরি করেন ১৩১০/২৭-০৪-২০২৩।
অভিযান ও পত্নীতলা থানার জিডি নং ১৩১০/ ২৭-০৪-২০২৩ ঘটনাচক্রে রুবাইত হাসানের উপর পর পর দুইবার হামলার পর ২৯ তারিখ রুবাইত হাসান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপুল ও জমি জবর দখল করতে গিয়ে নিরহ মানুষের উপর অতর্কিত হামলার ফেরারী ও মামলাকালীন ভারতে পালানো আসামী ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ সহ ১০ জন প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এবং ২৫-৩০ জন অজ্ঞাত বিবাদী করে সাক্ষীগণ নাম উল্লেখ্য করে ২৯-০৪-২০২৩ ইং আবারো একটি সাধারন ডায়েরি করেন।দ্বিতীয়বার সাধারন ডায়েরির পর ওসি রুবাইত হাসানকে ফোন করে বলেন, সাধারন ডায়েরি করতে হলে এখানকার অনেক কথা বাদ দিতে হবে।
রুবাইত হাসান বলেন, সত্যের সঙ্গে মিথ্যা মিশ্রিত করে প্রায়শই মামলা হয়। কিন্তু যা সত্য যা ঘটেছে আমি ঠিক তাই লিখেছি।এখানে কোন মিথ্যা নেই, সুতরাং কোন ঘটনায় বাদ দেওয়া সম্ভব নয় স্পষ্ট করে বললে, ওসি জানান তাহলে এটি অভিযোগ/এজাহার আকারে হবে,আর সেজন্য তদন্ত প্রয়োজন। রুবাইত হাসান বলেন, আপনি এখনই তদন্ত শুরু করুন। সঠিক তদন্ত করে দেখুন। তদন্তে আসেন পত্নীতলা থানার ওসি (তদন্ত) অর্পন কুমার, বাজারে উন্মোক্তভাবে অভিযোগের প্রতিটি বিষয় লোকজনের সম্মুখেই একের পর এক ঘটনা বর্ননা সহ অভিযোগের রেফারেন্স দেন রুবাইত হাসান। অতঃপর ০২-০৫-২০২৩ ইং থানায় এ বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেন রুবাইত হাসান। ওই অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, বৃহঃস্পতিবার (২৭) এপ্রিল রাত নয়টা নাগাদ মোড় থেকে বাড়ি ফেরার পথে রুবাইত হাসানকে পথ রোধ করে দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত দুইটি মোটরসাইকেলে মোট ০৫ জন সন্ত্রাসী কায়দায় মাথার বাম পাশে আঘাত সহ কিল ঘুসি মেরে ম্যানিব্যাগ ছিনতাই করে ইসলামি ব্যংকের একটি এটিএম কার্ড, রাজধানী ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট কার্ড, ৩৭০০ (তিন হাজার সাতশত) টাকা ছিনতাই করে দ্রুত গতিতে ধামইরহাট উপজেলার লোদীপুর রাস্তা অভিমুখে চলে যায়। এরপর ওই রাতেই প্রথম প্রহর গভীর রাত ১.৫০-২.০৭ /২৮-০৪-২০২৩ তার শয়ন কক্ষের জানালা বরাবর ঢিল ছোড়ে দুবৃত্তরা।
অনুপ্রবেশ চেষ্টাও করা হয়। এরপর বাড়িঘর সহ তাকে পোড়ানো, ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে। টের পেয়ে রুবাইত হাসানের বাবা ও মেজ বড়ব্বা তাদের সামনা সামনি মোকাবেলা করতে বলে দরজা খুলতে গেলে তারা দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। রুবাইত হাসান বলেন, আমি ঘটনা গোপন রেখে কাজ করলেও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নসহ জেলা গোয়েন্দা শাখা প্রশাসনের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে আপটেড টু গেট অবহিত করেছি। বিবাদীগণের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাই, যদি বিবাদীগন পার পেয়ে যায়, তাহলে প্রশাসন স্বাধীন ও মুক্ত নয় বলে অবশ্যই সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। রাজধানী সহ সারাদেশে সাংবাদিক নেতাদের সহযোগীতায় কঠোর আন্দোলনে যেতে কোন অসুবিধা নেই বলেন, রুবাইত।
এ বিষয়ে তখন পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র দেবের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। রুবাইত হাসান একটি জিডিও করেছেন। আমরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। রুবাইত হাসান জিডি’র ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে ওসি থানায় কর্মরত এএসআই রমজান আলীকে (বিপি নং: ৮৪০৪০০২৯২০) দায়িত্বভার দেন। এএসআই রমজান আলী জিডিতে বর্নিত ঘটনার পর্যালোচনা করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, সদর কোর্ট নওগাঁর মাধ্যমে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-০৪ বরাবর অধতর্ব্য অপরাধ হয়েছে বলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুমতি প্রার্থনা করেন। রুবাইত হাসান ১৭-০৫-২০২৩ ইং কোর্টে বক্তব্য পেশের জন্য উপস্থিত হলে কোর্ট তা মন্জুর করেন। নন প্রসিকিউশন জারী হওয়ার পর, ভুক্তভোগী পত্নীতলা থানায় মিডিয়া কর্মীদের নিয়ে ওসি’র সঙ্গে দেখা করেন।এসময় তিনি হামলা, ছিনতাইয়ের ঘটনায় যত দ্রুত সম্ভব আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আহ্বান জানিয়ে ইন্টারনাশন্যাল হিউম্যান রাইটস কমিশন বাংলাদেশ মিশন প্রধান জনাব ইলিয়াস সিরাজী সাক্ষরিত ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম (গভঃ -রেজি ০৩) আওয়ার নিউজবিডি’র নির্বাহী সম্পাদক জনাব কাজী ইমরান সাক্ষরিত ২৯-০৪-২০২৩ ইং (দুটি বিবৃতি একই দিনে আসে) বিবৃতির আলাদা আলাদা কপি পত্নীতলা থানা অফিসার ইনচার্জ কে প্রদান করেন। এসময় ডিউটি অফিসারের কাছে আরো এক কপি প্রদান করে, আরেক কপিতে রিসিভের থানার সিল ও সাক্ষর করে নেন। বৈঠকে ভুক্তভোগী কেন তার অভিযোগটি এখনও গ্রহন করা হয়নি? জানতে চাইলে, ওসি পত্নীতলা বলেন একই ঘটনায় একই সঙ্গে জিডি ও অভিযোগ নেওয়া সম্ভব হয়না। ভুক্তভোগী আবারো প্রশ্ন করেন, তাহলে অভিযোগের বিষয়ে কেন তদন্ত হলো? কেন আমার জবান বন্দী ও তা মোবাইল ফোনে কিছু অংশ ভিডিও ধারন করা হলো? প্রথম জিডি নিরাপত্তা জনিত কারনে করা হয়েছিলো, ঘটনার জের যদিও একই কিন্তু হামলা, ছিনতাই এগুলো কর্মকান্ড কী একই? জিডি তো কিছু হারালেও করা যায়,ওইটার ধারা আর এটার ধারা কী এক? শাস্তি এক?
ওই সময় আইন সম্পর্কে আমার যা ধারনা ও স্টাডি আছে তিনি মুখে না বললেও তার চোখ ও মুখের দৃশ্যে দেখেই নিশ্চিত হওয়া গেছে যোগ করেন রুবাইত হাসান। প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় অভিযোগের সত্যতা থাকাই তা ওই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে। কিন্তু যখন গত ২০-০৭-২০২৩ ইং কোর্টের সীল মোহর ও সাক্ষরিত কাগজে আসামীদ্বয়ের প্রতি কেবল ৫০৬ পেনাল কোডে সমন জারী করে আগামী ১০-০৯-২০২৩ইং কোর্টে উপস্থিত হতে বলেন। রুবাইত বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। সোর্সসের মাধ্যমে পাওয়া আসামীদ্বয়ের প্রতি সমন জারীর ওই পত্রে হামলা, ছিনতাই ও ষড়যন্ত্রের মূল হোতা থানার শিহাড়া ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি সাজেদুল ইসলাম বিপুল ও ইউপি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মানুনুর রশিদ (মামুন) সহ ১-৩ নং বিবাদী ও ৯-১০ নং বিবাদীদের নাম ছাটাই করে ভুক্তভোগীর সাথে কোন রকম যোগাযোগ বা আলোচনা ছাড়ায় এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছে ওসি পত্নীতলা।যুক্ত করা হয়নি হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বা সেসব পেনাল কোডের ধারা। কেবল প্রথম জিডি’র বিষয়ে অবগত করেছেন পত্নীতলা থানা। এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন পুলিশ সদস্য এসআই নজরুলও কোন রকম যোগাযোগ করেননি ভুক্তভোগীর সাথে। রাস্তায় লাগানো রুবাইত হাসানের গাছও উপড়ে ফেলা হয় (যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক ইন্চি জায়গা ফেলে রাখা যাবে না, ফসল সবজি, ফল গাছ বৃক্ষরোপন করতে হবে) সেখানে ছাত্রলীগের সে ইউপি নেতা রোপন তো দূরের কথা গাছ উপড়ে ফোলাচ্ছেন। প্রত্যক্ষদর্শীর কথা শুনে ওই স্থানে গিয়ে সত্যতা পেয়ে রুবাইত হাসান ওসিকে মুঠোফোনে অবগত করলে তিনি এএসআই রমজানকে অবগত করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার জন্য আমাকে ফোন করতে বলেন বলে ভুক্তভোগী দাবি করেন। কিন্তু থানা পুলিশ থেকে কেউ আসেনি,ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে গাছের সাথে শত্রুতামির ঘটনাটিও।অথচ এএসআই রমজান শিহাড়া ইউপি বাজারে এসে মাঝে মধ্যেই আসামীদের সঙ্গেই চা আড্ডা দেন।রুবাইত হাসান অভিযোগ করেন, আমাকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছেন ওসি ও এ বিষয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য। যদি কেবল ৫০৬ পেনাল কোডে আংশিক আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারী হয়, তবে ওসি বা থানা পুলিশ কী ভাবে আসামীদের নাম পরিচয় পেলো? কী ভাবে? কারন আমার প্রথম জিডিতে কারো নাম ঠিকানা উল্লেখ্য ছিলোনা। দ্বিতীয়ত যদি আমার অভিযোগ পত্র ও অভিযোগের পর তদন্ত সূত্র ধরে আংশিক আসামীর নাম উঠে আসে তবে কেন আমার উপর হামলা ছিনতাইয়ের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে? ভুক্তভোগী ও বাদী আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ,পরমর্শ ও আলোচনা ছাড়ায় নিজেদের ইচ্ছামতো মূল নেপথ্য কারিগরদের নাম ছাটাই করা হলো! দেশের কোন আইনের ক্ষমতাবল ও এখতিয়ারে ওসি ও থানা পুলিশ এ কর্মকান্ড ঘটিয়েছেন তা জানতে চান রুবাইত হাসান।
আরো বলেন, স্থানীয় মোড়ে একটি চায়ের স্টলে আসামীদের প্রতি সমনের নোটিশ আনা হয়, নাম ছাটাই হয়েছে দেখে বর্তমানে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা ও তাদের সাঙ্গ পাঙ্গরা। তারা আমার মানহানি সহ আমাকে ও পরিবারের সদস্যকে গাছে ছুলিয়ে হত্যা করবে, আমার নামে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসানো সহ থানা পুলিশ এলাকায় আসলে তাদের সাথে চা আড্ডা সহ গাড়ি সহ টহল দিচ্ছে থানার পুলিশ। এ বিষয়ে সকল আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনেরর সাথে ওসি সহ পত্নীতলা থানার সংশ্লিষ্ট সকল পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের বিভাগীয় ব্যবস্থা চান রুবাইত হাসান। রুবাইত হাসান বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমি আশা করি পুলিশ তথা প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা গ্রহন করবেন,আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
উল্লেখ্য যে, বর্তমান পত্নীতলা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব (বিপি নং:-৮১০৮১২১৪১১) যোগদানের পর থেকেই উপজেলাজুড়ে অবনতি ঘটেছে আইনশৃৃঙ্খলা পরিস্থিতির। যা রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় সচেতন মহলের। বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, রমরমা মাদক ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, মাঝে মধ্যেই পুলিশ এসে টাকা পয়সা খেয়ে চলে যায়,এছাড়া মাদক ব্যাবসায়ীদের কাছে মাসোয়ারা টাকা নেয় পত্নীতলা থানা। এ বিষয়ে গত ২৭ জুলাই জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম ঢাকা পোষ্টে তথ্য চিত্র সহ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রকাশিত ওই সংবাদটি পড়লেই স্পষ্ট ধারনা আসবে বর্তমান ওসি পলাশ চন্দ্র দেব সহ পত্নীতলা থানা পুলিশ সম্পর্কে। সাজেদুল বিপুল ও তার দালালরা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের ভ্যানগার্ড,নাম প্রকাশে অনেকেই বলেন তারা মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে মাদক সহ টাকা নেন। নিয়োগ বানিজ্য, চাকরির প্রলোভন সহ সে এখন অঘোষিত ওপেন সিক্রেট সন্ত্রাস। খাস জায়গাতে পার্টি অফিস, এ্যানিমিপ্রোপাটিতে জবর দখল, মানুষকে ভয় দেখানো এটা তার নেশা। আলিফ লায়লা বা কিরন মালার ধারাবাহিক এপিসোডের মতো কাল্পনিক গল্প বানিয়ে প্রকৃত, ত্যাগী নির্যাতিত,দুঃসময়ের নেতা কর্মীদের হঠিয়ে যারা তার পিছনে ঘোরে, পা চাটে, হাব্রিট নেতা ও বিএনপি নেতাও এখন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সারিদের।এই কথিত নেতা ও তার ঘনিষ্ঠ সহচররা বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামীলীগের ট্যাগ ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাবশালী হিসাবে যেন তার সাত খুন মাপ। কয়েক বছর পূর্বে তাদেরই পার্টি অফিসে ইয়াবা সেবনের একটি ছবি ভাইরাল হয়,সেখানে তার সহচর ৩নং বিবাদীও উপস্থিত ছিলেন। পরে অনেক খোঁজা খুঁজির পরও ছবিটি ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি।
তবে হয়রানি ও নির্যাতনের কেউ কিছু বলতে পারে না।আমাকে যে কোন সময় গায়েবি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার এবং আমার ও আমার পরিবারের যে কোন সদস্যকে যে কোন সময় অপহরন, গুম কিংবা হত্যার উদ্দ্যেশে অতর্কিত হামলা করতে পারে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন ও আমার নিরাত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নইলে কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলেও স্পষ্ট করেন রুবাইত হাসান।
এ বিষয়ে আইজিপি কমপ্লেইন সেল বরাবর একটি অভিযোগ প্রদান সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রানালয়,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা ও রাজধানী ঢাকাস্ত বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে বলে রুবাইত হাসান নিশ্চিত করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন