পদত্যাগ করলেন শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নেত্রকোণায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম কবীর পদত্যাগ করেছেন।

রোববার (১১ আগস্ট) বিকালে তিনি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি প্রেরণ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম কবীর নিজের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে উনি দায়িত্ব পালন করার সময়। যতগুলো নিয়োগ হয়েছে প্রায় সবগুলোতে দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে মূল্যায়ন না করে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন।

তার সাথে তৎকালীন ট্রেজারার সুব্রত কুমার আদিত্যসহ অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে তাকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হয়।শিক্ষার্থীরা তার বিগত দিনের বিভিন্ন অপরাধের শাস্তির দাবি করেন।

২০১৭ সনে শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নীতি পাশ হলেও ৭ (সাত) বছরে শিক্ষার্থীদের একটি ক্লাসরুমও নির্মান করতে পারেননি। সরকারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে তাদের কার্যক্রম চলছে।এতে ব্যাহত হচ্ছে টিটিসির বিভিন্ন কার্যক্রম।ট্রেনিং নিতে আসা প্রবাসগামী যুবকগণের ট্রেনিং এর সময় টিটিসির আবাসিক হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দখলে থাকায় তাদের বিভিন্ন হোটেল বা গেস্ট হাউজে থাকতে হয়।

টিটিসির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় গুরত্বপূর্ণ রুমগুলো তাদের (শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়)দখলে থাকায় তারা তাদের কোন কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারছেননা। যথাসময়ে নির্মান কাজ সম্পন্ন না হওয়ার জন্য দায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিক্যাট।বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি ভাড়া করে থাকেন যার ভাড়া বিশ্ববিদ্যালয় বহন করে।

সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হবে এই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।