পদ্মাসেতুর কল্যানে ফল আমদানি বাড়ছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে
দীর্ঘ তিন বছর পর সুদিন ফিরতে শুরু করেছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে। নানা জটিলতায় ২০২১ সাল থেকে ফল আমদানি শূণ্যের কোঠায় থাকলেও সম্প্রতি তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। যার জন্য পদ্মাসেতু মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
এছাড়াও বন্দরের ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতাও বড় ভূমিকা রেখেছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বছর তিনেক আগে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে ফল আমদানির ক্ষেত্রে ভোমরা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতো। কিন্তু কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পর ২০২১ সাল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমতে থাকে।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টিআর ওজনে বাড়তি ছাড় না পাওয়ার জন্য তারা ধীরে ধীরে অন্য বন্দরের দিকে ঝুঁকে পরে। সেসব বন্দরে ওজন টেম্পারিং করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ফল আমদানি করা হতো। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে ওজন টেম্পারিংয়ের কোন সুযোগ আগে থেকেই ছিলো না। সম্প্রতি পদ্মাসেতুর উদ্বোধন হওয়ায় ঢাকা থেকে ভোমরা স্থল বন্দরের দুরত্ব দেশের যে কোন বন্দরের তুলনায় কাছে। একই সাথে কোলকাতা থেকেও কাছাকাছি এ বন্দরের অবস্থান। ফলে ব্যবসায়ীদের পরিবহনসহ আনুসাঙ্গিক খরচ ভোমরা স্থল বন্দর দিয়ে আমদানির কারণে তুলনামূলক কম হয়। সরকারি রাজস্ব বেশি পরিশোধ করা হলেও পরিবহনসহ আনুসাঙ্গিক খরচ কম হবার কারণে ব্যবসায়ীরা ধীরে ধীরে ভোমরা স্থল বন্দরের দিকে ঝুঁকে পরেছে।
একই সাথে বেনাপোল বন্দরের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোলে সিরিয়াল জটিলতা ও তীব্র যানজটের কারণে আমদানীকারকরা ভারতীয় ফল ভোমরা বন্দর দিয়ে আমদানির জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে।
জানা গেছে, যে কোন ধরণের পন্য আমদানির সময় স্কেলে শুধুমাত্র বন্দর বা রাজস্ব কর্মকর্তারাই নয়, শুল্ক গোয়েন্দার প্রতিনিধি, ডিজিএফআই প্রতিনিধি ও এনএসআই প্রতিনিধি থাকে। যারা আমদানির ঘোষণা ও সার্বিক প্রক্রিয়া নজরদারি করে থাকে।
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন বন্দরের সাথে জড়িত। দীর্ঘদিন পর ভোমরা বন্দর দিয়ে ফল আমদানি সত্যি আশাব্যঞ্জক। তবে একটি চক্র সেটি মানতে পারছেনা।’
এসব বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের কাস্টমস এর ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হক বলেন, ‘প্রতিদিনই ভোমরা বন্দরে আমদানি বাড়ছে, যা ইতিবাচক। এতে সরকারি রাজস্ব যেমনি বাড়ছে, তেমনি স্থানীয় শ্রমিকদেরও জীবনযাত্রার উন্নয়ন হচ্ছে। স্কেলে ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আমাদের বন্দরে যে টিআরগুলো দেয়া হয় সেগুলো বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাসহ খুলনা কমিশনারের প্রতিনিধি এখানে উপস্থিত থেকে টিআর নির্ধারণ করে দিয়েছে। তার বাইরে আমাদের বন্দরে কোন টিআর সুবিধা দেয়া হয় না।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন