পদ্মা সেতুতে রেলস্ল্যাবের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন
ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে ভাঙ্গা আর ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল সংযোগের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। আসছে বছর জুনেই সড়কের সঙ্গে পদ্মার রেল সংযোগ চালু হলেও পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে শেষ হবে। এছাড়া পদ্মাসেতুর রেলস্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭৫ ভাগ। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত ও আর্থিক অগ্রগতি ৩৯ শতাংশ।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মায় চলছে স্বপ্ন বোনার কাজ। উপর তলায় রোডস্ল্যাব আর নিচে চলছে রেলস্ল্যাব বসানোর কাজ। ২ হাজার ৯৫৬ ডেকের মধ্যে প্রায় ৭৫ ভাগের বেশি অর্থাৎ ২৩শ’র বেশি রেলস্ল্যাব বসেছে। কাজের এই গতি ব্যাহত না হলে ছয় মাসের আগেই শেষ হবে এই অংশের কাজ।
সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সেতুতে রেল সংযোগের ৭৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর সব মিলিয়ে মূল সেতুর ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
তবে সেতুর সঙ্গে এপার ওপারের সংযোগের লাইনের কাজটি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখলে দেখা যায়, বাঁধের কাজ ১৬.৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে শেষ হয়েছে ৭.৬৩ কিলোমিটার। মূল ব্রিজ ১৫টির মধ্যে শেষ নয়টি। কালভার্ট বা আন্ডারপাস ৩১টির মধ্য ১৪টি শেষ। বক্সগার্ডার সেগমেন্টের অগ্রগতি ৫৯.৯২ শতাংশ।
ঢাকা থেকে মাওয়া কিংবা জাজিরা থেকে ভাঙ্গা চলতে চলতে এখন চোখে পড়ে মহাযজ্ঞ। মাওয়া ভাঙ্গা অংশের বাঁধ হয়েছে ৫০ দশমিক ০৪ শতাংশ। ১২টি মেজর ব্রিজের মধ্যে ১১টিই শেষ হয়েছে। ওই বক্সগার্ডার সেকশনের কাজও প্রায় শেষ। আবার ভাঙ্গা-যশোর সেকশনে নির্মাণ কাজের অগ্রগতির দিকে তাকালে দেখা যায়, বাঁধ ৮৫.৭০ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৮.৩০ কিলোমিটার শেষ। মেজর ব্রিজ ৩১টির মধ্যে ১৯টি শেষ। ১৪৮ আন্ডারপাস এর মধ্যে ২২টি শেষ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন