পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে দাওয়াত পেলেন বিএনপির ৭ নেতা, যা বললেন রিজভী
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র (চিঠি) পাওয়ার পর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণপত্র আমাদের দেয়া হয়েছে, কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি। এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বুধবার (২২জুন) সময় সংবাদকে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে সকালে বিএনপির ৭ নেতাকে দাওয়াতের চিঠি দেওয়ার কথা জানায় সেতু কর্তৃপক্ষ।
আমন্ত্রণপ্রাপ্ত বিএনপির নেতারা হলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে এই আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
এদিকে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশের বিশিষ্টজনদের আমন্ত্রণপত্র দেয়া হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতাদেরও দেয়া হলো আমন্ত্রণপত্র।
এর আগে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে আমন্ত্রণপত্র দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (২১ জুন) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়ে এ আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করা হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের উপসচিব দুলাল চন্দ্র সূত্রধর আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তর করেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আমন্ত্রণপত্রটি গ্রহণ করেন।
এর আগে পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পদ্মা সেতু তৈরি করা- এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ ছিল আমাদের। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে আমরা শেষপর্যায়ে চলে আসতে পেরেছি।’
বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতু আগামী ২৫ জুন সকাল ১০টায় উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর একদিন পর ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। এটি দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেলসেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাংশের সংযোগ ঘটবে।
দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকছে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। ৬.১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত দেশটির সবচেয়ে বড় এ সেতু।
পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। খরস্রোতা পদ্মা নদীর ওপর ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ হয়েছে স্বপ্নের এ সেতু। ২০১৪ সালে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন