পদ্মা সেতুর এক বছর পূর্তিতে মাদারীপুরে আনন্দ মি‌ছিল ও আলোচনা সভা

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুল কাঙ্খিত পদ্মা সেতু উদ্বোধণের এক বছর পূর্তিতে আনন্দে ভাসছে মাদারীপুরসহ প্রায় ২১ জেলার মানুষ।

রবিবার (২৫ জুন) বিকেল মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তরা বলেন, গত বছর এদিনে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় অর্ভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। সাথে কৃষি, বাণিজ্যসহ নানা খাতে উন্নয়নের রোল মডেলে উঠতে শুরু করেছে এ অঞ্চলের মানুষ। আগামীতে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে পদ্মা সেতু কাজে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন বক্তরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান। এসময় রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল, মংলা বন্দরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। রাজধানী এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে যাতায়াতের সময় এক-চতুর্থাংশ কমে আসছে। এতে করে পর্যটন খাতেরও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশ হওয়ায় পদ্মা সেতু আঞ্চলিক সংযোগকে সহজতর করেছে।
তিনি আরো বলেন, নির্মাণ খাতে ২৯ শতাংশ, কৃষিখাতে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং উৎপাদন ও পরিবহনে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পদ্মা সেতু।

পদ্মা সেতুর প্রভাবে এই অঞ্চলে দারিদ্র্য ১ শতাংশ কমছে এবং জাতীয়ভাবে কমছে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ। পদ্মা সেতুর জন্য করা নদী শাসনের ফলে ৯ হাজার হেক্টর জমি খরা ও বন্যা থেকে বাঁচবে, যার আর্থিক মূল্য ১৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।