‘পদ্মা সেতু’ পাড়ি দিয়ে ঢুকতে হবে বাণিজ্য মেলায়
মুন্সীগঞ্জ জেলার মাওয়া, মাদারীপুর জেলার শিবচর ও শরীয়তপুর জেলার জাজিরায় চলছে উৎসব। এটি স্বপ্ন বাস্তবায়নের উৎসব। দিনরাত কাজ চলছে এই তিন জেলাবেষ্টিত পদ্মা নদীর পাড়ে। সেখানে পুরোদমে চলছে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। সেতু নির্মাণের সব কাজ তদারকি করছে সেনাবাহিনী। সরকারের পরিকল্পনামাফিক আগামী ২০১৮ সালের শেষের দিকে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে পদ্মা সেতুর। এ সেতু নিয়ে দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক।
স্বপ্নে এই সেতুতে করে পদ্মার ওপারে যেতে হলে এখনো বছর দুয়েক অপেক্ষা করতে হবে। তবে রাজধানীবাসীকে এখনই পদ্মা সেতুতে চড়ার স্বাদ দিতে চান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজকরা।
এবার তাই মেলার প্রবেশ গেট বানানো হয়েছে পদ্মা সেতুর মূল স্প্যানের আদলে। এটা দিয়েই ঢুকবেন দর্শনার্থীরা।
১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২৩ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। শেষ মূহূর্তে মেলা প্রাঙ্গন ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ চলছে স্টল ও প্যাভিলয়নগুলোতে। মেলায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তারা প্রদর্শন করবেন তাদের পণ্য। এদিকে মেলাকে কেন্দ্র করে যানজট নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো।
অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মেলায় পণ্য বিক্রির পাশাপাশি মোটা অংকের রফতানি আদেশ পাবে বলে প্রত্যাশা করছে। ক্রেতা আকর্ষণে দেয়া হবে মূল্যছাড়সহ চমৎকার সব অফার।
এদিকে আগারগাঁও-মিরপুর সড়কে মেট্রো রেল প্রকল্পের কাজ চলায় তীব্র হতে পারে যানজট এমন শঙ্কা আছে। তাই ভোগান্তি কমাতে দর্শনার্থীদের জন্যে শাটল বাস সার্ভিসের পরিকল্পনা করছেন আয়োজকরা। এ তথ্য জানালেন মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ।
মাসব্যাপি মেলায় এবার স্টল ও প্যাভিলিয়ন থাকছে ৫৮৩টি। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৩টি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন