পবিত্র মিরাজ শরীফে রোযা রাখার ফজিলত
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন- অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি পবিত্র ২৭শে ‘রজবুল আছম’ শরীফ রোযা রাখবে। মহান আল্লাহ পাক তার আমলনামায় ষাট মাসের ছাওয়াব লিখে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
(নুযহাতুল মাজালিস ১/১৪৪) আরো বর্ণিত রয়েছেন-অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারসী রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু উনাদের থেকে বর্ণিত। উনারা বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ মাসে এমন একটি দিন ও রাত রয়েছে, যে ব্যক্তি সে দিন রোযা রাখবে এবং রাতে ইবাদত করবে।
সে ব্যক্তি একশত বছর দিনে রোযা রাখার এবং রাতে ইবাদত করার ফযীলত লাভ করবে। আর সে দিন মুবারক হচ্ছে, পবিত্র ‘রজবুল আছম’ শরীফ উনার ২৭ তারিখ।” সুবহানাল্লাহ! (গুনিয়াতুত্ব তলিবীন) মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে;-অর্থ: হযরত আবূ ক্বিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে।
(আদ দুররুল মানছুর লি সুয়ূতী ৭/৩৪৪) পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযা সর্ম্পকে আরো অনেক বর্ণনা অসংখ্য কিতাবের মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে কতিপয় বর্ণনা উল্লেখ করা হলো-অর্থ: হযরত আমর ইবনে শুবল হারামি বলেন আমি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজব মাসের বিশেষ দিন (তথা ২৭ রজব) রোযদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।
(জামিউল আহাদীছ লিস সূয়ুতী ৩৩/৬৪ : হাদীছ ৩৫৭৯২ অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজব মাসের বিশেষ দিন তথা ২৭ রজব রোযাদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮২)উল্লেখ্য যে (সোমবার) দিবাগত রাতই হচ্ছেন পবিত্র মি’রাজ শরীফ। রাতে ইবাদত ও দোয়ায় মশগুল থাকতে হবে। দিনে রোযা রাখতে হবে।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে মহাপবিত্র ২৭-শে রজবুল হারাম শরীফ-এ রোযা রাখা থেকে শুরু যাবতীয় নেক আমল সমূহ করার তাওফীক্ব দান করুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন