পরনের শাড়ি মেয়ের দেওয়া, দাম ৬০০০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতার সময় উদাহরণ প্রসঙ্গে নিজের পরনের শাড়ি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, শাড়িটি তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের দেওয়া। তিনি তাঁর কয়েকজন বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে সোনারগাঁ গিয়েছিলেন। সেখান থেকে জামদানি শাড়িটা কিনেছেন ছয় হাজার টাকা দিয়ে। তবে দাম চেয়েছিল সাড়ে ছয় হাজার টাকা।
প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, সশস্ত্র বাহিনীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং আগামী দিনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিদেশিদের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বিদেশে গেলে অনেকে তাঁর কাছে উন্নয়ন কীভাবে হচ্ছে তা জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা কোনো ম্যাজিক নয়। আমার রাজনীতি ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাস, উচ্চাভিলাষের জন্য নয়। আমার রাজনীতি বাংলার জনগণের জন্য; যে শিক্ষা আমি পেয়েছি আমার পিতার কাছ থেকে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ক্ষমতাকে কখনো ভোগ-বিলাসের বস্তুতে পরিণত করিনি। ক্ষমতায় এসে কোনো ব্র্যান্ড পরব, কোন ব্র্যান্ড নিয়ে চলব, কোন গাড়িতে চড়ব, কোন দেশ থেকে ফার্নিচার আনব, কত বড় স্যান্ডেলিয়া (ঝাড়বাতি) লাগাব—ওই সব চিন্তা করি না। বসা চেয়ারখানাকে কতটা ডেকোরেট করব, ওই চিন্তা করি না। বরং স্যান্ডেলিয়া সরিয়ে দিয়েছি। গণভবনে বোধ হয় একটা-দুটো আছে। বাকি সব সরিয়ে দিয়েছি। চেয়ারও বদলে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে প্রধানমন্ত্রী আছি, কালকে না থাকলে চলে যাব। গাড়িতেও চড়তে পারি, ভ্যানেও চড়তে পারি, রিকশায়ও চড়তে পারি, পায়েও হাটতে পারি। সবই আমরা পারি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিমানের ফার্স্টক্লাসে যাই। আবার যখন থাকব না ইকনোমি ক্লাসে চড়ব। আমরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত।’
কওমি মাদ্রাসার সনদ স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এত দিন অবহেলিত ছিল। তাদের দিকে কেউ লক্ষ রাখেনি। সমাজে তাদের তেমন কোনো গুরুত্বই ছিল না। তাদের সম্মানজনক কাজ পেত না। সরকার ছয়টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডকে একত্র করে তাদের কারিকুলাম ঠিক করে সনদের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে অনেকে ব্যবহার করেছে। তাদের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেরা ক্ষমতায় আরোহণ করে তারপর রাজনীতিতে অবতরণ করেছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনোই তাদের ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেনি। আওয়ামী লীগের সময় সশস্ত্র বাহিনীর কাউকে রক্ত দিতে হয়নি।
দেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা দক্ষ প্রশাসক ও স্বাধীনচেতা ছিলেন। তাঁর সময়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশ। তিনি স্বাধীনচেতা ছিলেন বলেই স্বাধীনতার পরপর ভারতীয় মিত্র বাহিনীকে ফেরত পাঠাতে পেরেছিলেন। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মিত্রবাহিনী স্বাধীনতার পর ওই দেশে রয়ে গেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম বাংলাদেশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন