পরমাণু হামলা হলে যা করবেন!
ধারণা করা হচ্ছে এবার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগলে তাতে পরমাণু বোমার ব্যাপক ব্যবহার হবে। যদি সত্যই এমন হয় তাহলে সাধারণ নাগরিকের কি করা উচিৎ সে সম্পর্কে নিচে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল-
১. দূরত্ব: পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণস্থল থেকে যত দূর সম্ভব নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। বিস্ফোরণস্থল থেকে ১০০ মাইল দূরে থাকলেও হাওয়ার মাধ্যমে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেখান থেকে দূরে সরে যাওয়া উচিত যাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো শরীরের সংস্পর্শে না আসে।
২. শিল্ডিং: মোটা দেওয়ালের আড়ালে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে যান। দেওয়ালকে রক্ষাকবচ হিসাবে ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে ভাল জায়গা বেসমেন্ট, টানেল এবং সাবওয়ে। এ ক্ষেত্রে আরও একটা পথের দিশা দিয়েছে মার্কিন সরকার, সেটা হল ব্লাস্ট শেল্টার। বিস্ফোরণের পর এই শেল্টার তাপ, আগুন এবং তেজস্ক্রিয়তার প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে দেয়।
৩. সময়: পরমাণু বোমা বিস্ফোরণের পর প্রথম দুটো সপ্তাহে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি থাকলে নিজেকে নিরাপদ রাখতে দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি থাকা উচিত।
৪. পরমাণু বোমা বিস্ফোরণ হওয়ার পর যে আগুনের গোলার সৃষ্টি হয়, সে দিকে না তাকানোই ভাল। এতে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫. মাটিতে শুয়ে পড়ুন। যতটা সম্ভব নিজের মাথা ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৬. বিস্ফোরণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোসল করে নিন। তবে খেয়াল রাখবেন, গোসলের সময় দেহের ত্বক রগড়াবেন না। গোসলের সময় শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।
৭. পোশাকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ লেগে থাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরনের পোশাক খুলে ফেলুন। সেটা কোন প্লাস্টিক ব্যাগে ভাল করে বেঁধে লোকালয় থেকে দূরে ফেলে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
৮. খুব আলতো ভাবে নাক, কান, চোখের পাতা ভিজে কাপড় দিয়ে মুছে নিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন