পরিচয় না থাকলে প্রতিভার কোনো দাম নেই মুখ খুললেন শশী

বাংলাদেশের নাটক-চলচ্চিত্র জগৎ কেমন?
তাল কাটছে নতুন মুখেদের, তবে কাজ হয় কি?
এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী শশী আফরোজা খুব সরল ভাষায় বলেছেন—“এখানে দরকার হয় মামা, চাচা, খালু, ফুফা, ভাই কিংবা স্বামী”!
শশী জানান, মিডিয়ায় কাজ পেতে গেলে যোগ্যতার চেয়ে বেশি প্রয়োজন থাকে ‘লবিং’। একটু পয়সা কমালে আর সম্পর্ক থাকলে কাজ চলে আসতে থাকে উড়ন্ত গতিতে, আর যার কিছু নেই, সে পড়ে থাকে গা গুঁজে।
তিনি নিজেও দশ-পনেরো বছর লেগে প্রমাণ করেছেন নিজের যোগ্যতা। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে ছেড়ে দেওয়ার কথাও। কিন্তু সাহস করে বলেছেন, “যতদিন লাগুক, মাঠে নেমে প্রমাণ করেই ছাড়বো”।
চমকদায়ক কথা হলো, তার পরিবারে মিডিয়ায় কেউ নেই। একাই শুরু করেছেন পথচলা। আজও ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিচ্ছেন।
শুধু শশী নন, এমন আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যারা কাজ করেন নিয়মিত, কিন্তু বড় চরিত্রে সুযোগ পান না। পরিচিতি না থাকায় তারা থেকে যান অজানায়।
শশী অভিনয় করেছেন চারশোর বেশি নাটকে। সিনেমাতেও করেছেন কাজ।‘নবাব এলএলবি’ ছবিতে অভিষেক, ‘রিভেঞ্জ’ ছবিতে মায়ের চরিত্রে প্রশংসিত অভিনয়, ‘আমনুষ’, ‘চম্পা হাউজ’ এবং নতুন মুক্তি পাচ্ছে ‘খোদা হাফেজ’। ওটিটিতেও তার ওয়েব সিরিজ ‘হাইড অ্যান্ড সিক’ এসেছে।
নাটকে কাজ করেছেন অনেক পরিচিত নির্মাতার সঙ্গে ‘আসেন ছ্যাকা খাই’, ‘রূপকথা’, ‘তোমায় আমায় মিলে’ প্রভৃতি।
একজন নারী, যার পেছনে কোনো প্রভাবশালী পরিবারের সহায়তা নেই, যার হাতে প্রচারের বড় বাজেট নেই—তবুও নিজের মেধা আর ধৈর্যে আজ টিকে আছেন।
তবে প্রশ্ন জেগে ওঠে, এই শিল্প কি এরকম হওয়া উচিত ছিল? যেখানে দক্ষতা নয়, পরিচিতি ও পৃষ্ঠপোষকতার দরজা বেশি খোলে?
শশীর এই খোলামেলা কথাগুলো হয়তো আজকের মিডিয়ার জন্য বড় ধাক্কা, কিন্তু শিল্পীদের জন্য এক বড় আশা।
আমাদেরও দেখতে হবে, কতটা বদলায় আমাদের বিনোদন জগত, কোথায় যায় প্রতিভার স্বীকৃতি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন