পরীক্ষায় নকল : ৭ কলেজের ২২৯ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সুপারিশ
পরীক্ষায় নকলের দায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের ২২৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের কাছে সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা কমিটি। সোমবার শৃঙ্খলা কমিটির এক মিটিং এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আর গত ৯ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে সংঘঠিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রক্টর জানান, পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামকে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- হলটির প্রাধ্যক অধ্যাপক ড. সাবিতা রেজওয়ানা রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদসহ আরও দুই শিক্ষক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগেও কমিটি গঠন করেছিলাম একটি। এখন অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নতুন করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সাত কলেজের ২২৯ জনকে নকলের দায়ে বহিষ্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় অসাদুপন্থা অবলম্বন করায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।’
তবে তাদের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী বলা যাবে না বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘অধিভুক্ত বলে আলাদা করবে না। তারাও আমাদের শিক্ষার্থী।’
যদিও উপাচার্য বলেছেন, অধিভুক্ত সাত কলেজের ২২৯ জনকে নকলের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশদের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শৃঙ্খলা কমিটি লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, মনোবিজ্ঞান বিভাগসহ কয়েকটি বিভাগের বেশ কয়েকজন ছাত্রকেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন