পরীক্ষায় ভালো করবেন যেভাবে?
পড়াশুনা ক্যারিয়ারের জন্য যতটা দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার জ্ঞানের জন্য। একাডেমিক ভালো ফল, ক্যারিয়ার গঠনে সাফল্য পেতে পড়াশুনার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের পড়াশুনার কথা শুনলে, পড়ি বা না পড়ি মনে মনে অনেক পড়ার প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। যদিও সেটি উদ্যোগ নেওয়ার অভাবে আজ কাল করে অনেক সময় পার হয়ে যায়। পড়াশুনা করতে এবং মনোযোগী হতে সব চেয়ে যেটি আগে করতে হবে সেটি হলো আপনার স্বপ্নকে ভাবুন। স্বপ্ন ভাবতে ভাবতে বেশি সময় পার করবেন না। তাতে আপনি স্বপ্ন পূরণ থেকে পিছিয়ে পড়তে পারেন। আপনি যতই সময় নেবেন আর আলসেমি করবেন ততই পিছিয়ে পড়বেন। এই কথাটা মাথায় নিয়ে নেমে পড়ুন স্বপ্ন পূরণের পথে। অন্য কেউ যেটা পারবে আপনিও সেটা পারবেন শুধু দরকার কাজটিতে নেমে পড়া এবং নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখা। আসুন তাহলে জানি কিভাবে ভালো করবো পড়াশোনায়।
১. আগে পিছে চিন্তা বাদ দিয়ে পড়া শুরু করা: আপনি যতই ভাববেন, ততই পিছাবেন। সুতরাং শুরু করুন। একটা পেজ পড়লেও আপনি এগিয়ে যাবেন। এবং আজ এক পেজ পড়লে কাল ২ পেজ পড়ার আগ্রহ এমনিতেই তৈরি হবে। এভাবেই আপনি দেখতে থাকবেন আপনি শুরু করলেই আগ্রহটা আপনা আপনি তৈরি হয়ে যাবে। সুতরাং পড়াশুনায় ভালো কিছু করতে হলে আগে পিছে চিন্তা না করে শুরু করে দিন।
২. পড়ার মাঝে বিরতি নিন: একটানা অনেকক্ষণ পড়ার চেয়ে বিরতি দিয়ে পড়া অনেক বেশি কার্যকর। এক টানা বেশিক্ষণ পড়তে থাকলে পড়ায় মনোযোগ থাকে না।। তিই অনেকক্ষণ না পড়ে প্রতি ২০-২৫ মিনিট পর পর পড়ার মাঝে অন্তত ৫ মিনিট বিরতি দিন। বিরতি যে নিচ্ছেন তার ফলে মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, এবং পড়া খুব সহজেই আয়ত্ত হয়ে যাবে।
৩. পড়ার জন্য রুটিন তৈরি করুন: সঠিক প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজন সঠিক সময় নির্দেশনা। তাই রুটিন করে পড়াটা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি বিষয়ের জন্য পর্যাপ্ত সময় ভাগ করুন। এরপর টাইম রুটিন তৈরি করে ফেলুন। এতে করে সকল বিষয় যেমন সমান গুরুত্ব দেয়া যায়। আর পড়াটাও সহজতর হয়।
৩. অতিরিক্ত রাত জাগা পরিহার করুন: রাত জেগে পড়লে পড়া বেশি পড়তে পারবেন। এই ধারণা বাদ দিন। রাত জেগে পড়লে আপনার লাভ যতটা হবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিটাই বেশি। রাত জাগলে আপনার শরীরের উপর চাপ পড়বে। আর যেটি আপনার পড়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে। সুতরাং রাত জেগে পড়া থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার শরীর, মনে প্রভাব ফেলবে না। আপনি সুস্থ থেকে পড়াশুনায় মনোযোগ দিতে পারবেন।
৪. যে বিষয়গুলো কঠিন তা ঘুমানোর আগে পড়ার চেষ্টা করুন: বিশেষজ্ঞদের মতে, অপেক্ষাকৃত কঠিন এবং বর্ণনামূলক পড়া গুলো ঘুমানোর আগে পড়া উচিত। এতে করে পড়াটি মস্তিষ্কে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং ঘুম থেকে উঠার পর পড়াটি মনে করা সহজতর হয়।
৫. পরীক্ষার আগের রাতের জন্য পড়া জমাবেন না কখনই: অনেকেই আছেন আজকের পড়া কাল, কালকের পড়া পরশু করে করে সব পড়া জমিয়ে রাখেন পরীক্ষার আগের রাতের জন্য। এটা থেকে বিরত থাকুন। যেদিনের পড়া সেদিন একটু একটু করে শেষ করে ফেলুন দেখবেন এক সাথে চাপ পড়বে না। পরীক্ষার আগের রাতে সকল পড়া একসাথে পড়তে গেলে মানসিক চাপ বাড়বে যা পরীক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। পরীক্ষার আগের রাতে নতুন কিছু না পড়ে আগে যা পড়েছেন তাই রিভাইস করুন।
৬. পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করুন: কথায় আছে স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। খাবারের সাথে মস্তিষ্কের ক্রিয়াক্ষমতার সম্পর্ক রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে পরীক্ষার সময় চর্বিহীন এবং আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা উচিত। কারণ এসব খাবার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৭. নিজেকে যাচাই করুন: পরীক্ষার পূর্বে নিজেই নিজের ছোটখাট টেস্ট নিয়ে নিন। নিজেই তাতে মার্কিং করুন। এতে করে পড়া ভালমত হয়েছে কিনা তা যেমন বুঝা যায় তেমনি আত্মবিশ্বাসও বাড়ে। এই আত্মবিশ্বাস পড়া মনে রাখতে ও পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করে।
৮. নিজের উপর আস্থা রাখুন: হচেছ না, হবে না এ সমস্ত ধারণা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। নিজের উপর আস্থা রেখে সামনে এগিয়ে যান। বারবার অনুশীলন করুন। পরীক্ষার উত্তরপত্রেও আত্মবিশ্বাসের সাথে প্রশ্নের উত্তর লিখুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন