পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটি পর্যটন কেন্দ্র
রাঙামাটি শহরের পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। ব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। সাপ্তাহিক ছুটি ও বন্ধের দিনগুলোতে পর্যটকদের আগমন হচ্ছে বেশি।
রাঙামাটি শহরে পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে ঝুলন্ত সেতু, পুলিশের পলওয়েল পার্ক, সেনাবাহিনীর আরণ্যক, চাকমা রাজবাড়ি, সুবলং ঝর্ণা, কাপ্তাই লেক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক, কাপ্তাই নেভি ক্যাম্প, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, কাপ্তাই রিসোর্ট কটেজ ও সাজেকের পর্যটন স্পট উল্লেখযোগ্য। এসব জায়গায় প্রকৃতি প্রেমীদের পদচারণা থাকে সবচেয়ে বেশি।
খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব এলাকায় দৈনিক প্রায় এক থেকে দুই কোটি টাকার বাণিজ্য হয়ে থাকে। সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে গড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রে আসেন। তবে বিশেষ দিনগুলোতে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আরো বেশি।
আবাসিক হোটেল-রিসোর্ট, খাবারের দোকান, পাহাড়িদের তৈরি টেক্সটাইল কাপড়, সড়ক ও নৌযান এবং দর্শনীয় স্থান ঘিরে রাঙামাটির পর্যটন বাণিজ্যের পাঁচটি খাত গড়ে প্রতি দিন দেড় কোটি টাকার ব্যবসা করছে।
শীতের সকাল থেকেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ঝুলন্ত সেতুর পুরো এলাকা। যান্ত্রিক কোলাহল ভুলে প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটাতে হ্রদ পাহাড়ের শহরে ছুটে এসেছেন অসংখ্য পর্যটক। দলে দলে পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু রাঙামাটি শহর নয়, মেঘের রাজ্য সাজেকে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকরা।
রাঙামাটি আবাসিক হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা কামাল উদ্দিন জানান, গেল কয়েক দিনে আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের চাপ বেড়েছে। বর্তমানে পর্যটনের ভরা মৌসুম চলছে।
কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেক এর সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, বর্তমানে সাজেক পর্যটককে ভরপুর। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ভিড় করছেন সাজেকের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। প্রায় রিসোর্ট কটেজে শতভাগ বুকিং রয়েছে। কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের তথ্যমতে, সাজেকে ১১৬টি হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। রেস্তোরাঁ আছে ১৪টির বেশি। প্রতিটি হোটেল-মোটেলে পর্যটকদের ভিড় রয়েছে।
ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক নাইম রায়হান বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে স্ব-পরিবারে রাঙামাটি বেড়াতে আসলাম। খুব ভালো লাগছে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই উপভোগ্য।
খুলনা থেকে বেড়াতে পর্যটক তন্ময় চৌধুরী বলেন, রাঙামাটি হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে আসলে লেক আর পাহাড়ের যে মিলন সেটি উপভোগ করা যায়, এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগেরও সুযোগ থাকে, তাই রাঙামাটি আসা।
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন রাঙামাটি জেলার ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, আশারূনুপ পর্যটক এসেছে রাঙামাটিতে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঝুলন্ত সেতুতে পর্যটকদের সমাগম থাকে। বর্তমানে পর্যটকদের ভালো উপস্থিতি রয়েছে। পাশাপাশি হোটেল-মোটেলগুলো ৭০/ ৮০ ভাগ বুকিং আছে। এ মাসে প্রতিদিনই ভালো পর্যটক আসছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন