পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত নেত্রকোণার দুর্গাপুরের সাদামাটি ও নীলপানি এলাকা

ঈদুল আয্হার লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সীমান্তবর্তী নেত্রকোণার দুর্গাপুরের সাদামাটি এলাকা। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই ভীড় বাড়তে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম দিনেও ভীড়ছিলো চোখে পড়ার মতো।

গারো পাহাড়ের পাদদেশে নেত্রকোণার দুর্গাপুরের বিজয়পুর সাদা মাটির পাহাড় সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। বেশ কিছু টিলা, নীল পানির লেক তার নৈসর্গিক শোভায় প্রতিনিয়তই ভ্রমণপিপাসুদের আকৃষ্ট করে। তবে এবার গত ১৫ দিনে বৃষ্টিতে যেন প্রকৃতি সেজেছে আরও মায়াবি সৌন্দর্যে। এবারের ঈদের ১০ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঈদের পরদিন থেকেই পর্যটকদের ভীড়ে মুখরিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর বিজয়পুরের সাদামাটির পাহাড়,নীলপানি ও পার্শবর্তী এলাকা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মানুষ ছুটে এসেছেন পরিবার,পরিজন,বন্ধু-বান্ধব নিয়ে।

সাদামাটির পাহাড়ে কোথাও সাদা, কোথাও গোলাপি, কোথাও বাদামি রঙের মিশ্রণ থাকায় দূর থেকে এই পাহাড় অপরূপ সুন্দর দেখায়। কেউ পাহাড়ের গায়ে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন,কেউবা নীল জলে পা ডুবিয়ে শীতলতা উপভোগ করছেন কেউ কেউ নীল পানিতে সাঁতারও কাটছেন।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা রোহান নামের একজন পর্যটক বলেন,ঈদের ছুটিতে আমরা বন্ধুরা মিলে বিজয়পুরে এসেছি। সারাদিন ঘুরে সাদা মাটির পাহাড় ও নীল পানির সৌন্দর্যে দেখে আমরা বিমোহিত। এখানে নীল লেকের পানি খুব ঠান্ডা। সুযোগ পেলে আবারও আসবো।

সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক তুহিন বলেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে এখানে আসা। সাদা মাটির পাহাড়ে কোথাও গোলাপি, কোথাও কালো,কোথাও বাদামি রঙের মিশ্রণ থাকায় দূর থেকে এই পাহাড় অপরূপ সুন্দর দেখায়। পাহাড় -নীল পানি- সবুজের এই মিতালি যে কাউকে বিমোহিত করবে।

শিক্ষিকা মিতালী ঘোষ বলেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে সাদামাটির পাহাড়ে ঘুরতে এসেছি। এখানকার যে পরিবেশ এই পরিবেশ দেখে আমরা সবাই অনেক আনন্দিত। আশা করি যারা এখানে বেড়াতে আসবেন, তারা ভালো একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে এখান থেকে ফিরবেন। সাদা মাটির পাহাড়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে নানা পণ্যের দোকানপাট। এই ঈদের লম্বা ছুটিতে পর্যটকদের আগমনে ব্যবসা ভালো হওয়ায় স্বস্থির হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ী ও ফটোগ্রাফারদের মুখে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, সারা বছর কম-বেশি পর্যটক থাকলেও ঈদের ছুটিতে এখানে প্রচুর সংখ্যক পর্যটক আসে। এতে করে আমাদের দোকানের বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান,দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই দুর্গাপুরে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে সব সময় তবে ঈদ উপলক্ষে সমাগম আরও বাড়ে। সেইসব পর্যটন স্পটে টুরিস্ট পুলিশ না থাকলেও আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক থানা পুলিশ এর টহল পাশাপাশি প্রাম পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।