পর্যটন নগরী সাজেকে পিসিজে এসএসের সশস্ত্র গ্রুপের সাথে বিজিবি’র আলোচনা
পার্বত্য জেলা পর্যটন নগরী সাজেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএসে)র সশস্ত্র গ্রুপের সাথে বিজিবি’র আলোচনা করায় জনমনে আশঙ্কায় রয়েছে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের তুইচোই মৌজার দুর্গম জামপাড়া নামক স্থানে পিসিজেএসএস সন্তু গ্রæুপের একটি সশস্ত্র গ্রুপের সাথে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)-এর আলোচনা হয়েছে বলে স্থানীয় একটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এতে স্থানীয় জনমনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সূত্রটি জানায়, গতকাল শুক্রবার(৭ই জুলাই) দুপুরে অর্জুন চাকমার নেতৃত্বে পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপের ২৬জনের একটি সশস্ত্র দল জামপাড়ায় এসে অবস্থান নেয়। এরপর শিয়ালতাই পাড়া ক্যাম্প থেকে বিজিবি’র ৮জনের একটি দল সেখানে যায় এবং উভয় পক্ষের মধ্যে ঘন্টাখানিক আলোচনা হয়। তবে তাদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে পিসিজেএসএস’র সশস্ত্র গ্রুপের সাথে বিজিবি সদস্যদের সাক্ষাত ও আলোচনার খবরে স্থানীয় জনগণ নানা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার(৬ই জুলাই) পিসিজেএসএস’র সশস্ত্র সদস্যরা সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ‘হঘড়া কিজিঙ’ নামক গ্রাম থেকে এক কার্বারিকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের হঘড়া কিজিং নামক এলাকা থেকে পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক এক গ্রাম কার্বারীকে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার(৬ই জুলাই ২০২৩) সন্ধ্যার সময় এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অপহৃত ব্যক্তির নাম রিটেন চাকমা(৪২),পিতা-প্রভাত চন্দ্র চাকমা, গ্রাম- হঘড়া কিজিং, ৭নং ওয়ার্ড, সাজেক ইউনিয়ন। তিনি ওই গ্রামের কার্বারি বলে জানা গেছে। তবে পিসিজেএসএস’র এর অপহরন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে জানা যায়, গতকাল আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার সময় সন্তু গ্রুপের ২৮জনের একটি সশস্ত্র দল হঘড়া কিজিং গ্রামে এসে নিজ বাড়ি থেকে রিটেন চাকমাকে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে এবং কোথায় নিয়ে গেছে সে বিষয়ে কোন কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন। তবে রিটেন চাকমা কোন দলের সাথে যুক্ত নয় বলে তারা নিশ্চিত করেছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি(পিসিজেএসএসে)র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদন সজীপ চাকমা ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, এটি নিজেদের অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে হয়েছে। এ ঘটনার সাথে তারা সংশ্লিষ্টতা নেই।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। তার কোন খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন