রাজধানীর পল্টন-ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ, মিরপুর-ধানমন্ডি থেকে আটক ২০

রাজধানীর মিরপুর ১০, ইসিবি চত্বর ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে সোমবার (২৯ জুলাই) বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ। রাজধানীর পল্টন ও ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় একদল বিক্ষোভকারী ইসিবি চত্বরে একত্রিত হন। এ সময় আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং কয়েকজনকে আটক করে।

সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, বিক্ষোভকারীর গলির ভেতরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে, ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় রোববার রাতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তবে অন্য দুইজন সমন্বয়ক অভিযোগ করেছেন, জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে এই বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে। পরে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় সারা দেশে আজ ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আজ ঢাকার আটটি স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি হবে বলে জানানো হয়েছিল। এই আট স্থান হচ্ছে সায়েন্স ল্যাব, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ নম্বর গেট, প্রেসক্লাব, উত্তরার বিএনএস সেন্টার, মিরপুর ১০, মিরপুরের ইসিবি চত্বর, রামপুরা ও মহাখালী। সকাল থেকেই এসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) হেলিকপ্টারের টহলও দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে টহল দিতে দেখা গেছে।

বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি সাব্বির।
ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।