পশু ব্যবসায়ীর নিরাপত্তায় মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির কবল থেকে কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশের পাশাপাশি নামানো হয়েছে পুলিশের নারী সদস্যদেরও।
তারা এসব অপরাধী ধরতে বিভিন্ন পশুর হাটে ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়েছে। তবে এরপরও থেমে নেই অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীচক্রের সদস্যরা। তারা সুযোগ বুঝে নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে তাদের সফল অপারেশন। হাতিয়ে নিচ্ছে পশু ব্যবসায়ীর টাকা। ফলে গরু-ছাগল বিক্রির পর শূন্যহাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেক পশু ব্যবসায়ীকে। গত দুদিনে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের গরু ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন জানান, পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের চাঁদা দিয়ে হাটে পৌঁছলেও বিপত্তি বাড়ে পশু বিক্রির পর। পশু বিক্রির টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরাই যেন দায়।
তিনি জানান, শনিবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসংলগ্ন বাথুলী এলাকা থেকে গরু নিয়ে আসা দুই ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে গরু বিক্রির সব টাকাই নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাদের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত তিন দিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অন্তত ১০ জনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাদের অচেতন করে সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে গাবতলী হাটে র্যাব ও পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ তারা পাননি। কেউ আমাদের সামনে দিয়ে কারো পশু বা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিতে পারবে না বলে তিনি দাবি করেন।
গরু ব্যবসায়ী ফজর আলী বলেন, পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা হাটের গেটে তাদের অস্থায়ী ক্যাম্পেই সারাক্ষণ বসে থাকে। ভেতরে কী হচ্ছে সে ব্যাপারে তাদের খেয়াল নেই। অপরাধীরা তাদের বলে-কয়ে কী অপরাধ করবে?
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম অ্যান্ড জনসংযোগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পুলিশ চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারী ও অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সব সময় গাবতলী হাট এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে।
এছাড়া হাটের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প। তিনি বলেন, ঈদের সময় বেশির ভাগ লোকই গ্রাম থেকে আসে। তারা কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই এ ধরনের অপরাধীদের খপ্পরে পড়ে। কোনো ধরনের অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মশিউর রহমান জানান, থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের সদস্যরা সাদা পোশাকে হাট এলাকায় অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারীচক্রের সদস্যদের ধরতে অবস্থান করছে।
এছাড়া নামানো হয়েছে সাদা পোশাকে মহিলা পুলিশের একটি ইউনিট। তারা অপরাধীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করবে। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই অপরাধীরা তাদের হাতে ধরা পড়বে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন