পশ্চিমবঙ্গকে চার দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে মোদির বিজেপি!
বিহারের রাজনীতির নাটকীয় পট পরিবর্তনে বৃহস্পতিবার বিজেপির সমর্থনে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিলেন নীতিশ কুমার। ভেঙে গেল লালু-নীতিশের মহাজোট। জোর ধাক্কা গেল কংগ্রেসসহ লালু প্রসাদের দল।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের মোদির বিরুদ্ধে কার্যত জিহাদ ঘোষণা করে এনডিএ ছেড়েছিলেন যে নীতীশ তিনি ফের ফিরলেন বিজেপির শরণে। একই সঙ্গে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট তৈরির প্রক্রিয়ায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিরোধীরা।
২০১৫ সালে বিহারে জোট করে লড়ে যুযুধান জেডিইউ (লালু) ও আরজেডি (নীতিশ)। ভোটের ফলে সবাইকে চমকে দিয়ে সব থেকে বেশি আসন পায় লালুপ্রসাদের দল। যদিও পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় লালুর পক্ষে ভোটে লড়া বা মুখ্যমন্ত্রী হওয়া কোনওটাই সম্ভব ছিল না। নীতীশ কুমারকে মুখ করে লড়া এই নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর নীতীশকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নেন লালু। উপমুখ্যমন্ত্রী করেন ছেলে তেজস্বীকে।
বিহার রাজনীতির এই পট পরিবর্তনে পশ্চিমবঙ্গের প্রধান চারটি প্রতিবেশী রাজ্যের মধ্যে ৩টিতেই প্রতিষ্ঠিত হল মোদির এনডিএ বা বিজেপির সরকার। আসাম ও ঝাড়খণ্ড আগেই নিরঙ্কুশ ভাবে দখল করেছিল বিজেপি।
বৃহস্পতিবার বিহারেও প্রতিষ্ঠিত হল তাদের সরকার। রইল বাকি নবীন পট্টনায়কের ওড়িশা। সেখানে নির্বাচন সামনের বছর। সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। এছাড়া সিকিমে রয়েছে সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সরকার। তবে তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ মমতা সরকারের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়।
বিহার দখলের পর ভারতের ৬৭ শতাংশ জনসংখ্যার ওপর এনডিএর শাসন কায়েম হল। এদিকে ওড়িশাতেও বিজেপির অবস্থা দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। যেভাবে চারদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে ঘিরে ফেলে মোদি তাতে মমতা ব্যানার্জীর উদ্বেগের বড় কারণ এখন বিজেপিই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন