পাউরুটির এই সত্যগুলো জানলে আপনি আঁতকে উঠবেন
বাংলাদেশ সহ পুরো ভারতীয় উপমহাদেশে পাউরুটি জনপ্রিয়তা পায় ব্রিটিশ শাসনামলে। আর এখন সম্ভবত অতিব্যস্ত মানুষদের সবচেয়ে প্রিয় খাবারও এটি। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার। নাহ! আমরা এটা বলতে চাইছি না যে পা দিয়ে দলে-মলে বানানো হয় বলেই একে পাউরুটি বলা হয় (Pav Roti; ইংরেজি ‘pav’ শব্দটি এসেছে পর্তুগীজ ‘pao’ শব্দ থেকে যার অর্থ রুটি )। বরং পাউরুটি সম্পর্কে এমন সাতটি সত্য রয়েছে যেগুলো জানতে পারলে আপনি হয়তো সত্যিই আঁতকে উঠবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেই ভয়ংকর তথ্যগুলো।
১. ক্ষতিকর রাসায়নিক
বেশির ভাগ পাউরুটি বানাতেই পটাশিয়াম ব্রোমেট বা আয়োডেট নামের ভয়ানক ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এই দুটি রাসায়নিকই মানব স্বাস্থ্য ধ্বংস করে। যা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এর গবেষণায়।
২. অতিরিক্ত শ্লেষ্মা সৃষ্টি করে
পাউরুটি রাসায়নিক এবং কৃত্রিম খাদ্য উপাদানে পূর্ণ থাকে। খাওয়ার পর এর সঙ্গে পানি মিশে তৈরি হয় এক চটচটে ও আঠালো পিণ্ড।
যা হজম প্রক্রিয়ায় প্রবেশের পর আমাদের পাকস্থলী একে একটি ক্ষতিকর অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গণ্য করে। এবং নিজেকে এর ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য শ্লেষ্মার দেয়াল তৈরি করে!
৩. ওজন বাড়ায়
পাউরুটিতে আছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেটস, লবণ, পরিশোধিত চিনি এবং প্রিজারভেটিভ যা শুধু আপনার ওজনই বাড়াবে কিন্তু কোনো পুষ্টি সরবরাহ করবে না।
৪. হজম করা কঠিন
পাউরুটিতে কোনো খাদ্য আঁশ নেই। ফলে অন্ত্রে এর চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে এটি হজম প্রক্রিয়ায় দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে দেহে বিষ উৎপাদন করতে পারে।
৫. পুষ্টিহীন
পাউরুটি বানানোর জন্য ময়দা পরিশোধিত করার সময় সব ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান খসে পড়ে। সব ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শুধু শ্লেষ্মা উৎপাদক রুটির ফালিই শুধু বাকী থাকে।
৬. রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়
পরিশোধিত ময়দা থেকে তৈরি হওয়ায় এতে থাকে উচ্চ গ্লিকেমিক ইনডেক্স। যার ফলে এটি খেলে রক্তে দ্রুত সুগার নিঃসরিত হয়। যা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার দরজা খুলে দেয়।
৭. বিষাক্ত অ্যাডিটিভস বা কৃত্রিম খাদ্য উপাদান
পরিশোধিত শস্য সব সময়ই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কারণ এতে থাকে কার্বন ডাই অক্সাইড বা ব্রোমেন এর মতো বিষাক্ত অ্যাডিটিভস বা কৃত্রিম খাদ্য উপাদান।
সূত্র : টাইমস অফ ইন্ডিয়া
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন