পাকিস্তানের নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রশ্ন

ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আগের যে কোনো বারের তুলনায় এবারের নির্বাচন কম সুষ্ঠু হয়েছে।

দেশটিতে বুধবারে অনুষ্ঠিত হওয়া ২৭২টি আসনের সরাসরি নির্বাচনে ১১৬টিতে জিতেছে পিটিআই।

শুক্রবার ঘোষণা করা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলে দেখা গেছে, এখনো চারটি আসনের ভোট গণনা বাকি আছে।

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পিটিআইয়ের ১৩৭টি আসন লাগবে। কাজেই সেখান থেকে তারা কিছুটা দূরে অবস্থান করছে। ইমরানকে এখন জোট সরকার গঠনের দিকে যেতে হবে।

কারাবন্দী নওয়াজ শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ ৬৪টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছর পার্লামেন্টে তাদের বিরোধী দলের ভূমিকা রাখতে হবে।

শুক্রবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। ভোট গণনার প্রক্রিয়ার মধ্যেও অনিময়ের খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পর্যবেক্ষকরা বলেন, আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, ২০১৩ সালের তুলনায় চলতি বছরের নির্বাচন স্বচ্ছ ছিল না।

তারা বলেন, সাবেক ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজকে দুর্বল করে দিতে দুর্নীতির মামলা, আদালত অবমাননা ও সন্ত্রাসের অভিযোগের মাধ্যমে পরিকল্পিত চেষ্টা করা হয়েছে।