পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২৬, আহত ৬২

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ হামলায় আহত হয়েছেন ৬২ জনের বেশি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পাকিস্তানভিত্তিক ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনসহ একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটা রেলস্টেশনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

হামলার পরপরই আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেলুচিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এরইমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

গোষ্ঠীটি সামাজিক মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রশিক্ষণ শেষে কোয়েটা থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানের একটি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সর্দার বালুচ এই ঘটনাকে শোচনীয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হামলাকারীদের ‘পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দোষীদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত রাখবে কর্তৃপক্ষ এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনা হবে।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলাকারীরা ‘মানবতার শত্রু’।

পাক পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা মুহাম্মদ বালুচ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ছয় থেকে আট কেজি ওজনের বোমা দিয়ে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।

তিনি আরও বলেন, ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় হামলার সময় ঘটনাস্থলে শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। হতাহতের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক সব পর্যায়ের লোকজনই রয়েছে। বিস্ফোরণের সময় একটি ট্রেন পেশোয়ারের উদ্দেশে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।

কোয়েটা বিভাগের কমিশনার হামজা শাফকাত বলেন, এটি একটি “আত্মঘাতী হামলা” ছিলো। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি বেসামরিক নাগরিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেলুচিস্তানের স্থানীয় সম্পদের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে প্রদেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার পিছে বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের।