পাকিস্তানে খেলতে আবার না বাংলাদেশের
যে কোনো মূল্যে নিজ দেশের আন্তর্জাতিক সূচিটা নিয়মিত করতে চায় পাকিস্তান। বিশ্ব একাদশ, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো এরই মধ্যে পাকিস্তান সফর করলেও আক্ষরিক অর্থে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এখনো ফেরেনি দেশটিতে। কারণ বড় দলগুলো নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে দেশটিতে আসতে রাজি হচ্ছে না। ২০০৮ সালের পর প্রায় দীর্ঘ এক যুগ ধরে পাকিস্তানে খেলছে না বাংলাদেশ। কয়েকবারই দেশটিতে সফর বাতিল করেছে বিসিবি। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইমার্জিং এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে বিসিবি এখন পর্যন্ত কিছু না বললেও ভারত ও পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এমন তথ্য জানিয়েছে।
গেল অক্টোবরে এসিসি ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট আয়োজনের দায়িত্ব পায় পিসিবি। অনূর্ধ্ব ২৩ দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই টুর্নামেন্ট। তবে আইসিসির সেই সভায় বাংলাদেশ ও ভারতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তান থেকে ভেন্যু পরিবর্তন করতে আইসিসির কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ভারত বলেছে, ‘নিরাপত্তার কারণে তাদের পক্ষে পাকিস্তানে দল পাঠানো সম্ভব নয়। তবে টুর্নামেন্টটি অন্য দেশে হলে ভেবে দেখার কথা জানিয়েছে বিসিসিআই।
পাকিস্তানে দল না পাঠানোর বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি বিসিবি। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তানে খেলছে না বাংলাদেশ। ২০০৩ সালে তিনটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সফর করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এখনো পর্যন্ত সেটাই পাকিস্তানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সর্বশেষ দ্বিপক্ষীয় সফর হয়ে আছে। এরপর এশিয়া কাপ ক্রিকেটে খেলতে ২০০৮ সালে একবার পাকিস্তান গিয়েছিল টাইগাররা।
২০০৯ সালে দেশটিতে শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে অনেকদিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ ছিল। ২০১৫ সালে দীর্ঘ ছয় বছর পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে পাকিস্তান সফর করে জিম্বাবুয়ে দল। গত বছর পাকিস্তান ও বিশ্ব একাদশের মধ্যে একটি সিরিজ হয়েছে দেশটিতে। এরপর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলও পাকিস্তান সফর করেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন