পাকিস্তানে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ভোজ্য তেলের লিটার ৬০৫ টাকা


আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে পাকিস্তানের বাজারে ভোক্তাপর্যায়ে লিটার প্রতি ভোজ্য তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০৫ রুপিতে। রান্নার তেল ও ঘি’র দাম ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের সরকার।
দেশটিতে প্রতি লিটারে রান্নার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ২০০ রুপিরও বেশি। তবে খুচরা বাজারে সরকার নির্ধারিত এই দামে এখনো তেল বিক্রি শুরু হয়নি।
বুধবার (১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
দ্য ডন জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তান সরকার অভূতপূর্বভাবে ঘি ও রান্নার তেলের দাম বাড়িয়েছে। নজিরবিহীনভাবে রান্নার তেলের দাম প্রতি লিটারে ২১৩ রুপি এবং ঘি’র দাম প্রতি কেজিতে ২০৮ রুপি বাড়ানো হয়।
এতে করে ভোক্তাপর্যায়ে নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যের মূল্য সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। মূল্যবৃদ্ধির পর প্রতি লিটারে রান্নার তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০৫ রুপি এবং ঘি’র দাম দাঁড়িয়েছে ৫৫৫ রুপিতে। যদিও সরকার নির্ধারিত এই হার এখনও খুচরা বাজারে কার্যকর হয়নি বলেই জানিয়েছে দ্য ডন।
পাকিস্তানের করাচির ইউটিলিটি স্টোর কর্পোরেশনের (ইউএসসি) একজন কর্মকর্তা ডনকে মূল্যবৃদ্ধির এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, একলাফে ঘি এবং রান্নার তেলের ব্যাপক এই মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে ইউএসসি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং আজ বুধবার থেকেই সেটি কার্যকর হয়েছে।
অবশ্য হঠাৎ করে রান্নার তেল ও ঘি’র এতোটা মূল্যবৃদ্ধির কারণ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি পাকিস্তানি ওই কর্মকর্তা। তবে সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বলছে, পাকিস্তানের খুচরা বাজারে বিখ্যাত ব্র্যান্ডের ঘি ও রান্নার তেলের সর্বোচ্চ হার এখনও প্রতি কেজি/লিটার ৫৪০-৫৬০ রুপির মধ্যে রয়েছে।
তবে পাকিস্তান বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিভিএমএ) সেক্রেটারি-জেনারেল উমের ইসলাম খান ইঙ্গিত দিয়েছেন, ঘি ও রান্নার তেলের খুচরা দাম শিগগিরই ইউএসসির নির্ধারিত দামের সমান হবে।
তিনি বলেন, ঘি/রান্নার তেল প্রস্তুতকারীরা ইউএসসিকে ক্রেডিট করে পণ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কারণ কর্পোরেশন উৎপাদনকারীদের কাছে বকেয়া থাকা ২০০ থেকে ৩০০ কোটি রুপি এখনও পরিশোধ করেনি।
উমের বলছেন, পাম তেলের সরবরাহ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর টাস্কফোর্স কমিটির কর্মকর্তা এবং পিভিএমএর কর্মকর্তারা পাম তেলের চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে প্রতিদিন জুম মিটিং করছেন।
তিনি বলেন, করাচি বন্দরে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টন পাম তেলের মজুদ রয়েছে যা তিন সপ্তাহ ভালোভাবে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন