পাকিস্তান প্রমাণ করল তারা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দল
আগের দিনই পাকিস্তানের জয় অনুমেয় ছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। কিন্তু জয়ের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৭৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪ রানে হেরে যায় সরফরাজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান।
আবুধাবি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ রানের জয়ে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে জয়ের দিক থেকে এটি পঞ্চম। এর আগে ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১ রানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করেছিল। ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড মাত্র ২ রানে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে। তবে টেস্টে ৩ রানে দুটি জয় আছে। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে আর ১৯০২ সালে অস্ট্রেলিয়া ইংল্যান্ডকে পরাজিত করেছিল।
পাকিস্তানের জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজন ছিল ১৭৬ রান। টার্গেট তাড়া করতে নেমে রোববার কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জয়ের জন্য সোমবার চতুর্থ দিনে তাদের প্রয়োজন ছিল মাত্র ১৩৯ রান। হাতে ছিল ১০ উইকেট।
আবুধাবি টেস্টে নিউজিল্যান্ডের অভিষিক্ত স্পিনার অ্যাজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে দিনের শুরু থেকেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। আগের দিনে ২৫ রান করা ওপেনার ইমাম-উল-হক ফেরেন ২৭ রান করে। ৮ রান নিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে নামা মোহাম্মদ হাফিজ ফেরেন ১০ রানে। মাত্র ৪ রানে ফেরেন হারিস সোহেল।
৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তানকে খেলায় ফেরান আজহার আলী ও আসাদ শফিক। চতুর্থ উইকেটে তারা ৮২ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। এরপর ৪১ রানের ব্যবধানে ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের লজ্জায় পড়ে যায় পাকিস্তান।
৮১ বলে ৪৫ রান করে ফেরেন আসাদ শফিক। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ১৩ রানে ফেরেন বাবর আজম। মাত্র ৩ রানে ফেরেন দলীয় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। বিলাল আসিফ, ইয়াসির শাহ এবং হাসান আলীরা রানের খাতাই খোলার সুযোগ পাননি।
অথচ এই ইয়াসির শাহ এবং হাসান আলী যৌথভাবে ৫টি করে উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৯ রানে অলআউট করেছিলেন। মূলত ইয়াসির এবং হাসানই পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। আর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা।
১৬৪ রানে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও আজহার আলীকে নিয়ে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল পাকিস্তান। অথচ জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে থাকতেই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার। ৬৫ রানে তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭১ রানে অলআউট পাকিস্তান।
মাত্র ৪ রানে জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। দলের এই স্মরণীয় জয়ে ৫৯ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা অ্যাজাজ প্যাটেল।
নিউজিল্যান্ড: ১৫৩ ও ২৪৯।
পাকিস্তান: ২২৭ ও ১৭১।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: অ্যাজাজ প্যাটেল (নিউজিল্যান্ড)।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন