পাখির সাথে এ কোন নিষ্ঠুরতা
গত সাত বছর ধরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল চত্বরের কড়ই গাছগুলোতে বাস করে আসছে শামুকখোল পাখি। সেই পাখি তাড়াতে বিশাল আকৃতির কড়ই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রামেকে বেশ কয়েকটি গাছে দশ হাজারেরও বেশি শামুকখোল পাখি বসবাস করে আসছিল।
জানা গেছে, এই গাছে বাসা বেঁধে থাকা শামুকখোল পাখিরা হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানুষের গায়ে পায়খানা করে দিচ্ছে। এ কারণে সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে আনসার সদস্যদের এই গাছ কাটার নির্দেশ দেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদিন। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে ছবি তুলতে গেলে বাধা দেয় আনসার সদস্যরা। পরে সাংবাদিকদের পরিচালকের কাছে ধরে নিয়ে যান। বাকবিতণ্ডার আধাঘণ্টা পর কর্তৃপক্ষের আদেশে আনসার সদস্যরা চলে যায়। এসময় গাছ কাটা বন্ধ করে দেন তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তবে মুঠোফোনে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদিন জানান, গাছ নয় ডাল কাটছিলেন তারা। হাসপাতাল কখনও পাখির অভয়ারণ্য হতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন এটি হাসপাতালের কনসেপ্টের সঙ্গে যায় না। শামুকখোল পাখির পায়খানার সমস্যা থেকে বাঁচতে শৌচাগারের সামনে আরও একটি গাছের ডাল কাটা হবে জানান তিনি।
সরকারী এই হাসপাতালের গাছগুলোতে কয়েক বছর ধরে আশ্রয় নিয়ে আসছিলো দশ হাজারেরও বেশি শামুকখোল পাখি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন