পানামা পেপার্স কিনে নিয়েছে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা
করফাঁকিদাতাদের ধরার জন্য জার্মানির ফেডারেল তদন্তকারীরা প্রায় ৫০ লাখ ইউরো মূল্যে তথাকথিত পানামা পেপার্স কিনে নিয়েছে। জার্মান কর ফাঁকি দাতাদের ধরার আশায় জার্মানির ফেডারেল অপরাধ দপ্তর (বিকেএ) ৫০ লাখ ইউরো মূল্যে সংশ্লিষ্ট পানামা পেপার্সগুলি কিনেছে৷ খবর ডয়েচে ভেলের। জার্মানির হেসে রাজ্যের কর বিভাগ নথিপত্রগুলি খতিয়ে দেখছে, বলে একটি যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে বিকেএ, হেসে রাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয় ও ফ্রাংকফুর্টের সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয়৷
পানামা পেপার্স বলতে বোঝায় পানামার মোসাক ফনসেকা আন্তর্জাতিক আইনজীবী সংস্থা থেকে চুরি করা নথিপত্র, যা থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য কীভাবে অফশোর ফার্মে তাদের টাকা জমা রাখেন, তার হদিশ পাওয়া যায়৷
ফ্রাংকফুর্টকে জার্মানিতে ব্যাংকিং-এর রাজধানী বলা হয়ে থাকে : দেশি-বিদেশি বড় বড় ব্যাংক ছাড়া জার্মানির মুখ্য শেয়ারবাজারও এখানে অবস্থিত৷ কাজেই এ রাজ্যের কর বিভাগের কর্মকর্তাদের কর ফাঁকি ধরার ব্যাপারে বিশেষ অভিজ্ঞতা ও জানাশোনা আছে, যে কারণে বিকেএ এই রাজ্যের কর কর্তৃপক্ষকে পানামা পেপার্স ক্রয় ও মূল্যায়নের অভিযানে সংশ্লিষ্ট থাকার আহ্বান জানায়– বলে জানিয়েছেন হেসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী টোমাস শেফার৷ এমনকি হেসে রাজ্য পানামা পেপার্স কেনার খরচও অংশত বহন করতে রাজি, বলে তিনি ঘোষণা করেছেন৷
পানামা পেপার্স-এর খবর প্রথম ফাঁস করে জার্মানির স্যুডডয়চে সাইটুং, ২০১৬ সালে৷ ফাঁস করা নথিপত্র থেকে দেখা যায় যে, মসফন বা মোসাক ফনসেকা তাদের মক্কেলদের জন্য প্রায় দু’লাখ অফশোর ‘শেল’ কোম্পানি – বা ‘খোলস’ কোম্পানি– সৃষ্টি করেছিল৷ এই সব ‘মক্কেলদের’ মধ্যে বহু রাজনীতিক, ক্রীড়াবিদ ও অপরাপর সেলিব্রিটিরা ছিলেন৷
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন