‘পানিখেকো গাছ’ কাটলে খরা থেকে বাঁচবে দ. আফ্রিকা
পানির অভাবে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। চলতি বছরের মধ্যেই ফুরিয়ে যাবে প্রধান শহর ও রাজধানী কেপটাউনের সংরক্ষিত সব পানি। পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে পর্যটন শহরটির সব বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকতে হবে বৃষ্টির পানির দিকে।
ভয়াবহ এই পরিস্থিতি মোকাবেলার এখন একটাই উপায় খোলা আছে শহরবাসীর সামনে। সেটা হল, ‘পানিখেকো গাছ’ সব কেটে ফেলতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে গড়ে উঠেছে পাইন, অ্যাকাসিয়া আর ইউক্যালিপটাস গাছের জঙ্গল। ভিন এলাকার এসব গাছই শুষে নিচ্ছে মাটির সব পানি।
খরা থেকে বাঁচতে গাছগুলো কেটে ফেলাই একমাত্র সমাধান। নতুন এক গবেষণা রিপোর্টে খরামুক্তির এ ‘মন্ত্র’ তুলে ধরা হয়েছে। বিজ্ঞান সাময়িকী ন্যাচার কনজারভ্যান্সিতে শুক্রবার রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়।
মানবসৃষ্ট বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণেই শুধু বিশ্বে এই পানি সংকট তৈরি হয়নি। এর অনেক আগে থেকেই এই সংকট শুরু হয়েছে বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনে অপেক্ষা করছে ভয়াবহ বিপদ। সম্প্রতি বিশ্বের পানি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে এএফপি।
তাতেই উঠে আসে আফ্রিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চিত্র। দক্ষিণ আফ্রিকার কর্তৃপক্ষ বলছে, কেপটাউনে পানি সংকট এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সহসাই ‘ডে জিরো’ বা যে দিন থেকে শুধু জরুরি প্রয়োজনে পানি সরবরাহ সম্ভব, সে দিনটি এসে যেতে পারে? পরিস্থিতি মোকাবেলায় নানা উপায় অবলম্বন করা হচ্ছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বেশিরভাগ গাছই স্থানীয় প্রজাতির নয়। পাইন, অ্যাকাসিয়া ও ইউক্যালিপটাসের মতো গাছ অন্য এলাকা থেকে এসেছে। এগুলো অত্যধিক পানি শোষণ করে। পানির অভাব সমস্যা সমাধানে এসব গাছ কেটে ফেলতে হবে। আর এটা অন্যান্য সমাধানের চেয়ে আরও বেশি সহজ ও কম ব্যয়বহুল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন