পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র ক্লিন ইমেজে ভয়ে অন্যান্য প্রার্থীরা
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে সরকারি বিধি নির্বাচনী আচরনবিধি মেনেই ঝালকাঠিতে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের পরিদর্শনে এসেছিলেন বরিশাল সদর ৫ আসনের সংসদ সদস্য, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বরিশাল জেলা শাখার সহ-সভাপতি কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম।
দুই দিনের সরকারি সফরে বরিশাল জেলায় তিনি আসলেও তার নিজ সংসদীয় আসনে আসেন নি বলেও নিশ্চিত করেছেন তার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে তার সাথে থাকা এপিএস তানভীরুল ইসলাম। এছাড়াও তার সাথে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল ইসলাম বলেন ঝালকাঠিতে নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করা সহ চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের দিক নিদর্শনা দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু তিনি নিশ্চিত করে বলেন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ঝালকাঠিতেই অবস্থান করেছেন অথচ কিছু মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে তিনি নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে বরিশাল সিটির নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
জানাগেছে,জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও জাপার মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল সাক্ষরিত ১৯ মে শুক্রবার বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ২০২৩ রিটার্নিং অফিসার বরাবর পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনার প্রসঙ্গে অভিযোগ করেন। এবং গনমাধ্যম কর্মীদের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী’র অনুসারীরা। যে কারনে বেসরকারি একটি টেলিভিশন সহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন করে সিটি নির্বাচনে প্রচার প্রচারনা চালিয়েছেন।অথচ টিভি চ্যানেলে যে ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে তা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র ভেরিফাইড ফেইসবুক পেইজ থেকেই বিনা অনুমতিতে নিয়ে প্রচার করা হয়েছে বলে জানায় পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র সহকারী একান্ত সচিব মোহাম্মদ তানভীরুল হক । অভিযোগ উঠেছে,অন্য প্রার্থীদের প্ররোচনায় পড়ে অতি উৎসাহে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কে নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর কেন্দ্রীয় কমিটি’ সাবেক সহ সম্পাদক আহমেদ রুবাইয়াত ইফতেখার বলেন, জাতির বিবেক হচ্ছেন সাংবাদিকগন, তারা শুধু মাত্র একটি অভিযোগের ভিত্তিতে একজন প্রতিমন্ত্রীকে নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে সংবাদ প্রকাশ করাটা ঠিক হয়নি।তাদের প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান পূর্বক প্রকৃত সত্য ঘটনাটি তুলে ধরা উচিত ছিলো। তাছাড়া বাংলাদেশ সচিবালয় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এর কার্যালয় থেকে ৪২.০০.০০০০.০০৫.২৫.০০১.২৩.৩৩৮ নং স্মারক এ ১৮ মে ২০২৩ ইং প্রতিমন্ত্রী’র একান্ত সচিব উপসচিব নুর আলম সাক্ষরিত সফরসূচি তে উল্লেখ্য করা হয় ১৯ মে শুক্রবার দুপুর ১২ টায় ঝালকাঠি জেলার নলসিটি উপজেলার ৯ নং দপদপিয়া ইউনিয়ন রেষ্ট হাউজে উপস্থিতি এবং বাপাউপো কতৃক বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন যার ব্যাবস্থাপনায় বরিশাল / ঝালকাঠি পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।বরিশাল বাপাউবোর প্রধান প্রকৌশলী তারাও বিষয় টি অবগত আছেন তার অবস্থানের বিষয়। তাদের কাছ থেকে সত্যতা কিংবা অভিযুক্তর সংশ্লিষ্টদের কারোর বক্তব্য ছাড়া একচেটিয়া ভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ করাটাও সঠিক হয়েছে এটা বলা যাবে না। তবে জাতীয় পার্টি সহ অন্যান্য প্রার্থীরা গণমাধ্যম কে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
বরিশাল সদর ৫ আসনে বিগত ২৫ বছরে দৃষ্টান্ত তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কর্নেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম নৌকা প্রতিক নিয়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার পর পর ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী’র দায়িত্ব প্রদান করেন। যে কারনে তিনি তার সংসদীয় আসন সহ গোটা দেশেরই পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত সকল কার্যক্রম পরিচালনায় মূখ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন।
তাছাড়া বিগত ২৫ বছরে যা বরিশাল সদর আসনে উন্নয়ন হয়নি তা তিনি প্রথমবার নির্বাচিত হয়েই তার কর্ম দক্ষতা সততা এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে দৃষ্টান্ত মূলক উন্নয়ন মূলক কাজ করে দেশ ব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।যে কারণে দলমত নির্বিশেষে বরিশালে তার কর্মগূনে বিশাল একটি ভোট ব্যাংক তৈরী হয়েছে।আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত তার বলয়ে থেকেই বরিশালের রাজনীতিতে প্রবেশ করায় এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র ক্লিন ইমেজের কারনে ভোটের আগেই নৌকার প্রার্থীর গন জোয়ারে অন্যান্য প্রার্থীরা ভেসে যেতে পারেন এই শংকা থেকেই মূলত তার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা সহ তার ছায়াটাকেও ভয় পাচ্ছে অন্যান্য প্রার্থীরা বলেও মনে করেন তিনি। তবে এটা সত্যি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি অর্জন হচ্ছে অবহেলিত বরিশাল সদর আসনের জনগনের মনে জায়গা করে নিতে পারা একজন সৎ দক্ষ সুশিক্ষিত নৌকার কান্ডারীকে বরিশালের গুরুদায়িত্ব প্রদান করার মত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতৃবৃন্দরা।
তিনি আরো বলেন বরিশালে উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা দেশের মধ্যে প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন যেমন উজ্জ্বল নক্ষত্রের মত আজো মানুষের মাঝে বেঁচে আছেন। একই ধারায় বরিশালের রাজনীতি সহ জনগণের কাছে আস্থার প্রতিক হিসেবে সরকারের নানামুখি উন্নয়ন মূলক কাজ সঠিক সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদন করে ব্যক্তি নিজেকে সাধারণ জনগনের কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এর বরিশাল মহানগর শাখার যুগ্ম আহবায়ক ও আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য, আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বরিশালের রাজনীতি এবং জনগণের কাছে আস্থার প্রতিক। তার এ আসনের উন্নয়ন জনগন নিয়ে ভাবনা কম দেখা যায় নেতৃবৃন্দের মাঝে।যে কারণে আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থীর স্বল্প সময়ে ব্যপক জনপ্রিয়তা তারই একটা অংশ বিশেষ। আমি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কে নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেখেছি কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর কোন ভিত্তি নেই।মূলত তার ক্লিন ইমেজের কারনে তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই বিরোধী প্রার্থীরা মিথ্যে অভিযোগ করে ঝালকাঠির একটি মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করে বের হওয়ার একটি ফুটেজ ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করানো হয়েছে।এ বিষয় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য ঘটনা উন্মোচনের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার করার জানান তিনি।
এ বিষয় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃমনিরুজ্জামান জানান, বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য বরিশালে সদরে অবস্থান করলে নিয়ম অনুযায়ী সরকারি ভাবে তার কর্মসূচি সফর সূচি পেতাম। তিনি যেহেতু ঝালকাঠি জেলায় তার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কাজে গিয়েছেন সেক্ষেত্রে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয় টি আরো সুস্পষ্ট ভাবে বলতে পারবেন।
এবিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশনের দায়িত্ব রত সাংবাদিক জানান, নির্বাচন কমিশন এ লিখিত অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এবিষয়ে অভিযোগ প্রদান করা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও জাপার মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপসের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।অপরদিকে বরিশালের স্থানীয় একাধিক সচেতন নাগরিক বলেন, তাদের মাথা খারাপ হয়েছে সিটির এলাকার সীমানার হিসাবই নেই যাদের কাছে তারা আবার সিটির মেয়র প্রার্থী হয় কিভাবে বলেও প্রশ্ন রাখেন!
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন