পাবনার আটঘরিয়ায় ইদুরের পেটে রোপা আমন: ফলনে অর্ধেক ঘাটতির শঙ্কা
চলতি রোপা আমন মৌসুমে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিনের ইদুরের উৎপাতে প্রায় ৫০ হেক্টর জমির ধান ফোলামুখে কেটে নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। চলতি রোপা আমন মৌসুমে একদিকে অতিবর্ষণে পানিতে ডুবে রোপিত ধানের চারা পচে যাওয়া, অন্যদিকে তুলনামূলক উঁচু জমির ধানগাছ সবুজ হয়ে উঠলেও ব্যাপকভাবে কেটে সয়লাব করছে ইঁদুর।
এ বছর পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ধান উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে ঘাটতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার জমিতে রোপা আমনের আবাদ হলেও চারা রোপণের পরপরই শুরু হয় টানা বর্ষণ। এর ফলে তুলনামূলক নিচু ভূমিতে প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমির ধানের চারা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে এ বছর ফলনের অর্ধেক উৎপাদন ঘাটতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে তুলনামূলক উঁচু জমির ধানগাছ বেড়ে সবুজ হয়ে উঠলেও বর্তমানে সর্বত্র ব্যাপকভাবে ইঁদুর ধানগাছ কেটে সয়লাব করছে। পানি ও বৃষ্টির কারণে নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করেও ইঁদুর দমন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান কৃষকরা।
পৌর এলাকার রাধাকান্তপুর গ্রামের কৃষক সুজন জানান, এ বছর সাত বিঘা জমিতে রোপা আমন আবাদ করে অধিক বৃষ্টি ও পানিতে ডুবে তিন বিঘা জমির রোপণ করা চারা পচে গেছে। তা ছাড়া তুলনামূলক উঁচু চার বিঘা জমির উঠতি ধানগাছ ইঁদুরে কেটে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা কৃষি দপ্তরের মাঠকর্মী হাবিবুর জানান, প্রকৃতির বিরুদ্ধে কিছু করার নেই, তবে ভবিষ্যতে কৃষককে আগেভাগে ধান রোপণের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া ইঁদুর দমন করতে ধানক্ষেতের ভেতর বিশেষ করে আইলের ওপর ও পাশ দিয়ে কলার খোসার ওপর কীটনাশক বা বিষ দিতে হবে, তাতে যতটুকু সুফল পাওয়া যায়।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন