পাবনার ঈশ্বরদীতে অনুপস্থিতি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2022/01/News-Photo-Pabna-36.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিদ্যালয়ে অননুমোদিত অনুপস্থিতির অভিযোগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। উপজেলার ইস্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মৃণাল কান্তি সরকার।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনছুর রহমান চিঠি প্রাপ্তীর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন, ‘দুদিন আগেই অভিযোগের চিঠি হাতে পেয়েছি। কিন্তু শুক্র ও শনিবার অফিস বন্ধ থাকায় ফাইল প্রসেস করা যায়নি। অফিস খুলেছে। এখন ফাইল প্রসেস করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহীতে উপ-পরিচালকের কাছে ওই চিঠি পাঠিয়ে দেব। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। কারণ বিভাগীয় শাস্তি গ্রহণের এখতিয়ার আমার নেই।’
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম গত ৮ জানুয়ারি ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো প্রকার ছুটি না চেয়ে ও কর্তৃপক্ষের অগোচরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পান। তিনি প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জমা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক ২৩ জানুয়ারি ওই নোটিশের জবাব দেন। কিন্তু জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কথা হলে প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিষয়টি কিছুই না। অফিসের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছি।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনাল কান্তি বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার রয়েছে উপ-পরিচালকের। আমি শুধু বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সুপারিশসহ অবহিত করেছি।’
৮ জানুয়ারি ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো প্রকার ছুটি না চেয়ে ও কর্তৃপক্ষের অগোচরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে অভিযোগের সত্যতা পান।
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন