পাবনার ঈশ্বরদীতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ২ বন্ধুর পর চলে গেল বিশাল

পাবনার ঈশ্বরদীতে দুর্ঘটনায় নিহত দুই বন্ধু মিতুল ও সিয়ামের পর এবার না ফেরার দেশে চলেগেল বিশালও।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ২ টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছে নিহতের পরিবার।

নিহত বিশাল উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের খয়েরবাড়িয়া গ্রামের বাচ্চু মন্ডলের ছেলে। সে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার (৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। পথে ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের বহরপুরে মোটরসাইকেল ও করিমনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহীর মধ্যে ঈশ্বরদী সরকারি ভোকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের দশম শ্রেণির ছাত্র দাশুড়িয়া আতাইল শিমুল গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে মিতুল হোসেন (১৬) মারা যায়।

গুরুতর আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দাশুড়িয়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামের শিহাব সরদারের ছেলে সিয়াম সরদার ও বিশাল হোসেন (১৫) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যায় সিয়াম। চিকিৎসাধীন বিশাল হোসেনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়।

দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বকুল সরদার বলেন, নিহত বিশাল এর মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রয়েছে। আমার ইউনিয়নের একই দূর্ঘটনায় ৩ ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।