পাবনার ঈশ্বরদীতে ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন

উত্তরের হিমেল বাতাস ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাবনার ঈশ্বরদীর জনজীবন। সকাল ৮টার পর সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো তাপ। কনকনে ঠান্ডা নিবারণের জন্য পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে শীতের কাপড়ের মার্কেটগুলোতে উপড়ে পড়া ভিড়।

রোববার (৮ জানুয়ারি) এ জেলায় ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মৌসুমে এটি ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক কর্মকর্তা নাজমুল হক রঞ্জন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, শনিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদীতে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগে শুক্রবার ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। একদিনের ব্যবধানে রোববার (৮ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এ সপ্তাহে শীতের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে।

সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঈশ্বরদীর স্টেশন রোড, রেলওয়ে জংশন স্টেশন, বাসটার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কনকনে হিমেল বাতাস ও তীব্র শীতে মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সকাল ৮টার পর সূর্য দেখা গেলেও সূর্যের তাপ না থাকায় দুর্ভোগ করছে না। পথচারী, রিকশাচালক ও দুস্থদের খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।

এদিকে, উপজেলার প্রায় আড়াই লাখ মানুষের বিপরীতে সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত মাত্র তিন হাজার ৯২০টি শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় কম।

ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনের মালগুদাম সেডের কুলি আকমল হোসেন বলেন, তীব্র শীত সইতে না পেরে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি। সকাল থেকে মালামাল আনলোডের কাজ থাকলেও কেউ শীতের কারণে কাজে যোগ দেয়নি।

স্টেশনে বই বিক্রেতা আব্দুল কাদের বলেন, কনকনে শীত আর হিমেল বাতাসে স্টেশনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। স্টেশনে যাত্রী সমাগম অন্য দিনের তুলনায় কম।

ঈশ্বরদী মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার কুণ্ডু বলেন, ভোর থেকে প্রচণ্ড শীত অনুভব করছি। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে শীতের তীব্রতা বেশি। রিকশাচালক, অটোচালকসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা খুব দুর্ভোগে রয়েছে। শীতার্ত মানুষদের সহযোগিতার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, সরকারিভাবে যে কম্বল পাওয়া গেছে তা চাহিদার তুলনায় কম। মাত্র তিন হাজার ৯২০টি কম্বল পাওয়া গেছে। যা এরই মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।