পাবনার চাটমোহরে দুই স্কুলছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’ নিয়ে রহস্য!
পাবনার চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নে কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে এক মাদরাসা ছাত্রী ও এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। পুলিশ বলছে- আত্মহত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
শনিবার (২১ মে) রাতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলে স্কুল থেকে ফেরার পথে কীটনাশক কিনে নিজ নিজ বাড়িতে গিয়ে পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা।
দুই ছাত্রী হলো- হান্ডিয়াল ইউনিয়নের জয়ঘর গ্রামের জিল্লুর হোসেনের মেয়ে যুথী আক্তার (১৪) এবং পাইকপাড়া গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন সাকুর মেয়ে সাবানা খাতুন (১৪)। যুথী হান্ডিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সাবানা পাইকপাড়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে দুইজনই স্কুল ও মাদরাসা থেকে ফিরতি পথে বিকেলে হান্ডিয়াল বাজার থেকে কীটনাশক ট্যাবলেট কিনে খেয়ে যে যার বাড়ি চলে যায়। বাড়ি গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়েছে বলে পরিবারকে জানায়।
এ সময় উভয়কে হান্ডিয়াল বাজারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে পাবনা পাঠনো হয়। পাবনার যাওয়ার পথে সন্ধ্যার পর আটঘরিয়াতে গিয়ে যুথী মারা যায়। এ ছাড়া সাবানা রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
চাটমোহর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তারা কীটনাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। তবে, ঠিক কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
চাটমোহর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, রাত ৯ টার দিকে দুটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন