পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বছরের পর বছর চিকিৎসক সংকটে!
পাবনার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের পর বছর চিকিৎসক সংকট, অপারেশনের যন্ত্রপাতির উপর ধূলোবালির স্তর জমা আর ডাক্তারের অভাবে কাঙ্খিত সেবা দিতে না পারার মধ্যে দিয়ে চলছে । অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও কার্যত সেবার মান উন্নত হচ্ছে না। পাবনার বেড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী সাঁথিয়া ও শাহাজাদপুর উপজেলা থেকেও বিপুল সংখ্যক রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য ও সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে এসব তথ্য।
জানা যায়, ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও জনবল রয়েছে সেই ৩১ শয্যার। হাসপাতালে ১৭টি পদের বিপরীতে মেডিকেল অফিসার আছেন মাত্র ৫ জন।
হাসপাতালের এসব সেবার দুর্বলতার কারণে অলিতে গলিতে গড়ে উঠছে ক্লিনিক। প্রতিদিন সেসব ক্লিনিকে চলছে সিজারিয়ান অপারেশন। বর্তমান সময়ে মহামারী করোনা ভাইরাসে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। হাসপাতালে আছে ইসিজি মেশিন, এক্সরে মেশিন।
পাবনার বেড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নসহ নগড়বাড়ী, কাশিনাথপুর, সাঁথিয়ার করমজা এবং সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুরের বাঘাবাড়ীর বেশিরভাগই মানুষই এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের প্রভাব রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো দূরের কথা মেডিকেল এসিসট্যান্টদেরও সেবা পাওয়া যায় না। সেখান থেকে তাদের দায়িত্ব থাকে জরুরী বিভাগে।
এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা তুজ জান্নাত বলেন, ডাক্তার সংকটের কথা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। একজন গাইনোকলজিষ্ট হলেই সিজারিয়ান অপারেশন শুরু করা যায়। হাসপাতালে সেবার মান বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন