পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আ’লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভুড়িভোজ
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রায় হাজার লোকের ভুড়িভোজের আয়োজন করেছে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুর উন নবী মন্ডল। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে তার সমর্থকদের জন্য এই খাবার আয়োজন করেন। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অনমান্য করে এমন বিশাল আয়োজন করায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, চতুর্থধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর ভাঙ্গুড়ার খানমরিচ ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নুর উন নবী মন্ডল, বিদ্রোহী প্রার্থী মনোয়ার খান মিঠু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন। তবে প্রচারণা চালাচ্ছেন নুর উন নবী মন্ডল ও মনোয়ার খান। প্রচারণা শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটছে। এরই মধ্যে গত শুক্রবার কয়েক দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়। এ সময় স্বতন্ত্র (ঘোড়া) প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে দুই প্রার্থীর কয়েক শতাধিক সমর্থক লাঠিসোটা নিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।
এ অবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রার্থী নুর উন নবী মন্ডল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মোটরসাইকেল যোগে শতাধিক সমর্থক নিয়ে মনোয়ার খান মিঠুর এলাকায় রবিবার প্রচারণা চালাতে যান। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভ্রাম্যমাণ আদালতে নুর উন নবীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু এর পরেও নুর উন নবী মন্ডল আবার রবিবারে প্রায় এক হাজার লোকের ভুড়িভোজের আয়োজন করেন। এতে প্রায় দশ মণ চাউল ও দুইটি গরুর মাংস দিয়ে খাবার রান্না করা হয়। যা প্রতিটি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হবে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের ময়দানদিঘী গ্রামে নুর উন নবী মন্ডল এর বাড়ির পাশের উঠানে সাতটি চুলায় রান্না চলছে। আর প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে ময়দানদিঘী বাজার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে। দুপুর ১২টা বাজতেই লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে আসতে শুরু করেন। এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে নুর উন নবী মন্ডলের লোকজন মারমুখী আচরণ করে ছবি তুলতে বাধা দেন। এ সময় নুর উন নবীর খালাতো ভাই স্থানীয় ক্যাডার ও ওয়ার্ড আ’লীগ নেতা মাসুদ রানা এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে ভবিষ্যতে ভালো হবে না বলে হুমকি দেন এবং দ্রুত স্থান ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
ভূড়িভোজের বিষয়ে নুর উন নবী জানান, ইউনিয়ন আ’লীগ উপজেলা আ’লীগ নেতাদের জন্য সব মিলিয়ে ৬০০ লোকের এই আয়োজন করা হয়েছে। তবে এ আয়োজনের দায়িত্বে আমি নেই আমার কর্মী সমর্থকরা করেছে।
এ বিষয়ে জানতে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না অতি দ্রুত সময়ে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উপজেলা প্রশাসন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন