পাবনার হাটে-বাজারে, পথে প্রান্তে লাল সবুজের ফেরিওয়ালা

বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালি জাতির মুক্তির মাস। আর একদিন পরেই দেশবাসী উদযাপন করবে ৫০তম বিজয় দিবস। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে পতাকা নিয়ে পাবনা জেলার হাটে-বাজারে, পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মৌসুমী ফেরিওয়ালারা। বিজয় দিবসকে আনন্দঘন করতে জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে দেওয়াই যেন তাদের কাজ।

ডিসেম্বর, ফেব্রæয়ারি ও মার্চ মাস এলেই লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে শহরের হাটে-বাজারে, পথে প্রান্তরে ঘোরে তারা। এই ভ্রাম্যমাণ পতাকা বিক্রেতারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে বাঁশের সঙ্গে জাতীয় পতাকা বেঁধে বিক্রি করছেন। শুধু পতাকা নয়, লাল-সবুজের বাংলাদেশ, মাথার কাগজের ক্যাপ, রাবার, হাতের ব্যাজ, বুকের ব্যাজসহ বিজয়ের অনেক কিছু বিক্রি করছেন তারা। তাদেরই একজন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার করেরগ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে মাহবুব। তিনি এই প্রতিনিধিকে জানান, বিজয়ের মাসে পতাকা বিক্রি করে যেমন আনন্দ পান, ভালো লাগে, তেমনি উপার্জনও ভালো হয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরে গ্রামে একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ঘুরে পতাকা বিক্রি করেন। তিনি জানান, তার কাছে ১০,২০,৩০,৪০,৫০,৮০,১০০,১৫০,২০০,৩০০,৪০০ ও ৫০০ টাকা দামের পতাকা রয়েছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা পতাকা বিক্রি করেন। প্রতিদিন যে আয় হয়, খরচ বাদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। চারদিকে লাল-সবুজের ফেরিওয়ালাদের পথচলায় উড়ছে বিজয়ের নিশান।

বিজয় দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ক্রেতারাও কিনছেন লাল সবুজের জাতীয় পাতাকা। পতাকার ফেরিওয়ালা ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলার আবদুল্লাহ সরদারের ছেলে কাওছার আলী (২৪) বলেন, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় আমরা পতাকা বিক্রি করে বেড়াই। লাল সবুজের পতাকা আমাদের অহংকার। আমি গর্বিত এই ভেবে যে, আমি লাল-সবুজের ফেরিওয়ালা।
আরেক লাল সবুজের তরুণ ফেরিওয়ালা নরসিংদীর ছেলে মিনার উদ্দিন। তিনি জানান, পতাকা কাঁধে নিয়ে বিক্রি করতে ভালোই লাগে। সব শ্রেণি- পেশার মানুষ ও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা পতাকা কিনে। আয়ও ভালো হয়। এ মাস শেষ হলেই আবার গ্রামে ফিরে যাবো।
শুধু এরাই নয়, বাঙালির মুক্তির এ মাস আসলেই গ্রাম থেকে নগরে চলে আসে অনেক যুবক-তরুণ। যারা এ মাস শেষ হলেই আবার ফিরে যায় গ্রামে।