পাবনায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের মৃত্যুর অভিযোগ: লাশ নিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে প্রতিপক্ষের হামলায় সেলিম হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তি দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। হামলা ও মৃত্যুর জন্য নৌকার সমর্থকদের দায়ী করেছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
এলাকাবাসী সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে ওইদিন সন্ধ্যায় লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে, শ্রীকান্তপুর গ্রাম থেকে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বর ও দেবোত্তর বাজার প্রদক্ষিণ করে দেবোত্তর বাজার চৌ-রাস্তা মোড়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। পরে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা আক্তার মাসু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীরের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন (আনারস প্রতীক) কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রায়পুর গ্রামে গণসংযোগে গেলে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। তাদের মধ্যে সেলিম হোসেনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আহতরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন, ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল, সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, আসাদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে এম শাহীন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর নৌকার প্রার্থী মোহাঈম্মিন হোসেন চঞ্চলের কর্মী সমর্থকরা হামলা চালালে সেলিম হোসেন আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয়।
আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, একটি বিচ্ছন্ন ঘটনা ঘটেছে। কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন